Mob Lynching: গণপ্রহার নিয়ে সিদ্ধহস্ত রাজ্য, মদত দিলেও হবে কড়া শাস্তি
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা (Photo Credits: Wikimedia Commons)

কলকাতা, ২৮ অগাস্ট: State Government Is Bringing New Bill On Mob Lynching: এবার গণপ্রহার (Mob Lynching) নিয়ে কড়া হচ্ছে রাজ্য সরকার। শাস্তির বিধান নিয়ে নতুন আইন তৈরী হচ্ছে। গণপ্রহারে জড়িত ব্যক্তিরা কিংবা গণপ্রহারে নেপথ্যে থেকে মদত দেওয়া বা চক্রান্তে সামিল হলে সে ক্ষেত্রে শাস্তির বিধান থাকবে নতুন বিলে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে সারাদেশ জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে গণপ্রহারের ঘটনা ঘটে চলেছে। তার পিছনে কারণ হিসেবে থাকছে ধর্ম, বর্ণ অথবা খাদ্যাভ্যাস নিয়ে সমস্যা। তার প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) সব রাজ্য সরকারকে এই বিষয়ে আইন প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছে। কংগ্রেস শাসিত রাজ্য রাজস্থান গণপ্রহারের বিরুদ্ধে বিল এনেছে। এবার তৃণমূল সরকারও (Trinamool Congress) এই নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে।

বিধানসভার অধিবেশনে আগামী শুক্রবার পেশ হওয়ার কথা 'দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল (প্রিভেনশন অব লিন্চিং) বিল, ২০১৯' (The West Bengal Prevention Of Lynching Bill 2019)। গণপ্রহার কিংবা গণপ্রহারে উস্কানিমূলক ঘটনা ঘটছে কিনা সেই প্রবণতা রোখার জন্য রাজ্য স্তরে ডিজি, পুলিশ কমিশনারেট কমিশনার ও জেলায় পুলিশ সুপারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এনারা গণপ্রহার রোখার পাশাপাশি অপরাধীদের শাস্তিপ্রদান করবে।

বিলে বলা হয়েছে, ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়, ভাষা, খাদ্যাভ্যাস, লিঙ্গ, জন্মস্থান, ভাষা, রাজনৈতিক বিশ্বাস, যৌনরুচি, জাতিসত্তা বা অন্য যেকোনো কারণেই হোক দুই বা তার বেশিসংখ্যক ব্যক্তি কারো প্রতি হিংসাত্মক আচরণ করলে বা প্ররোচনা দিলে তাকে 'গণপ্রহার' বলে গণ্য করা হয়। পাশাপাশি ছাপার অক্ষরে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিকৃত, উস্কানিমূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়াকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে মনে করা হবে। অপরাধী চিহ্নিতকরণ ও শাস্তিপ্রক্রিয়া নিশ্চিত করার স্বার্থে সাক্ষীরা তাদের পরিচয় চাইলে গোপন রাখতে পারেন এই বিষয়টিও বিলে থাকছে।

মুখ্যমন্ত্রীর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে গণপ্রহার রাখার জন্য এই আইন রাখা হচ্ছে। সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তী এই বিষয়ে বলেন আইনের অপব্যবহার যাতে না হয় তার দিকে খেয়াল রাখতে। গণপ্রহারে আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিখরচায় হাসপাতাল বা স্বাস্থকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে। আক্রান্তকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। রাজ্য পুলিশের আইজি পদমর্যাদার এক জন অফিসারকে নোডাল অফিসার হিসাবে নিয়োগ করবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। গণপ্রহারজনিত ঘটনার আঁচ পেতে মাসে একবার নোডাল অফিসারের সঙ্গে বিভাগের বৈঠক হবে।