Partha Chaatterjee, Arpita Mukherjee (Photo Credit: Instagram, Facebook)

কলকাতা, ৬ অগাস্ট: এসএসসি দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ব্যক্তিগত বা যৌথ নামে থাকা ৫০টির মতো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের (Bank Accounts) হদিশ পেয়েছে ইডি (ED)। সংস্থার আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট সমস্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং অ্যাকাউন্টগুলির ডিটেলস চেয়েছেন। জানা যাচ্ছে, অ্যাকাউন্টগুলি থেকে পাওয়া তথ্য ফরেনসিক অডিটের (Forensic Audit) জন্য পাঠানো হবে। ইতিমধ্যেই ইডি-র আধিকারিকরা একটি শেল কোম্পানির খোঁজ পেয়েছেন। ২০১২ সালের ২৩ মার্চ চালু হওয়ার পর থেকে বহুবার কোম্পানির ডিরেক্টরদের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

উল্লিখিত কোম্পানির ঠিকানা হল-অনন্ত টেক্সফ্যাব প্রাইভেট লিমিটেড, ক্লাব টাউন হাইটস, ব্লক ৫, ফ্ল্যাট ৮ও, ১৪ বিটি রোড, কলকাতা ৭০০০৫৬। ঘটনাচক্রে, এটিই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটের ঠিকানা। যেখান থেকে ২৮ জুলাই বিপুল পরিমাণ নগদ ও সোনা উদ্ধার হয়। ইডি জানিয়েছে, যখন কর্পোরেট সংস্থাটি ২০১২ সালের মার্চে চালু হয়েছিল, তখন এর তিন ডিরেক্টর ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রয়াত বাবলি চট্টোপাধ্য়ায়, মেয়ে সোহিনী (ভট্টাচার্য) চট্টোপাধ্যায় ও জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। ২০১৬ সালে ডিরেক্টরদের তালিকা থেকে কন্যা এবং স্ত্রীর নাম বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের রেকর্ড অনুসারে, বর্তমানে কোম্পানির দুই বর্তমান পরিচালক হলেন মৃন্ময় মালাকার এবং রণেশ কুমার সিং। আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: জেল হেফাজতে পার্থ, প্রাক্তন মন্ত্রীকে আক্রমণ কুণালের

এক ইডি কর্তা বলেন, "বারবার ডিরেক্টরদের নাম পরিবর্তন কাল্পনিক কিছুর দিকেই ইঙ্গিত করে। সম্ভবত এটি অন্য একটি শেল কোম্পানি, যা বিভিন্ন চ্যানেলে তহবিল সরানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। এখন আমরা দুই বর্তমান ডিরেক্টর মৃন্ময় মালাকার এবং রণেশ কুমার সিংয়ের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।"

ইডি এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পার্থর মেয়ে সোহিনী ও জামাই কল্যাণময়কে তলব করেছে। দু'জনেই বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বাসিন্দা। ইমেল পাঠিয়ে তাঁদের দ্রুত তদন্তে যোগ দিতে বলা হয়েছে।