রাতের শহরে প্রতিবাদীদের পাশে দাঁড়াতে লালবাজার গিয়েছিলেন হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly), সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা তথা বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ (Rudranil Ghosh) সহ বিজেপি নেতৃত্ববৃন্দ। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা এই প্রতিবাদকে কখনই কোনও রাজনৈতিক পতাকার নীচে আনতে চায়, সেটা সোমবার রাতে স্পষ্ট বুঝিয়ে দেওয়া হল। অভিজিৎ-রুদ্রনীলদের দেখেই গো ব্যাক স্লোগানে গর্জে উঠল লালবাজার চত্বর। বিজেপি নেতাদের দেখে তাঁরা এতটাই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন যে বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হল অভিজিতদের। যাওয়ার আগে অভিজিৎ বললেন, ওরা আমাকে ভুল বুঝছে। আমি কোনও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে আসিনি, বরং আমি এসেছি একজন শহরবাসী বা নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদে সামিল হতে।

বর্তমানে  আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলছে বিজেপি। গত ৯ অগাস্টের ঘটনার পর একটা জিনিস পরিস্কার যে এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে কার্যত সরকার বদলে দিতে চাইছেন সুকান্ত-শুভেন্দুরা। সাম্প্রতিককালে নবান্ন অভিযান হোক বা ১২ ঘন্টা বনধ সবেতেই আরজি কর ইস্যুর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগে দাবি করছে গেরুয়া শিবির। তবে এতদিন এই প্রতিবাদগুলি আলাদা করেই হচ্ছিল। চিকিৎসকদের প্রতিবাদের সঙ্গে তাঁদের আন্দোলন মেলাতে পারছিল না। কিন্তু গতকাল পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে লালবাজারের সামনে যে বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে, বিক্ষোভকারীদের দাবি, সেই সমাবেশের রাজনৈতিক রং চড়াতে এসেছিলেন অভিজিৎ, রুদ্রনীলরা। তাই তাঁদের গো ব্যাক স্লোগান দিয়ে পিছু হটানো হয়।

এদিকে হাসপাতালে দুর্নীতিকাণ্ডে গতকালই গ্রেফতার হয়েছেন আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ রায়। সিবিআইয়ের এই গ্রেফতারিকে নৈতিক জয় বলে মনে করছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। প্রায় ১৬দিন জেরা করার পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। এদিন সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে জেরা করার পর সোজা তুলে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। এর আগে সন্দীপের পলিগ্রাফ টেস্ট হয়ছিল, তখন থেকেই তাঁর গ্রেফতারি তত্ত্ব সামনে আসছিল।