কলকাতা, ২৯ ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) গ্রেফতার শেখ শাহজাহানকে (Sheikh Shahjahan) 'গ্রিন করিডর' করে আনা হল ভবানী ভবনে (Bhawani Bhaban)। সেখানেই আপাতত ১০ দিনের জেল হেফাজতে থাকবেন এই তৃণমূল নেতা (TMC Leader)। এদিন কার্যত মিডিয়ার চোখে ধুলো দিয়ে বসিরহাট থেকে বাসন্তি হাইওয়ে ধরে ঘটকপুকুর ধরে সায়েন্স সিটি হয়ে ভবানী ভবনে নিয়ে আসা হয় সন্দেশখালির ত্রাসকে। শাহজাহানকে নিয়ে আসার আগে ওই রাস্তা একেবারে ফাঁকা রাখা হয়। অন্যদিকে, ভবানী ভবনে আনার পরেই শাহজাহানের কেস সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। আপাতত ভবানী ভবনেই তাঁকে জেরা করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

এদিন শাহজাহানকে গ্রেফতার করে নেওয়ার পর একচুলও সময় নষ্ট করেনি রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। সকালে তালে জেলে না ঢুকিয়ে সোজা নিয়ে আসা হয় বসিরহাট মহকুমা আদালতে। সেখানে সকাল থেকেই ছিল পুলিশ এবং ব়্যাফ বাহিনী। মিডিয়া ছাড়া সাধারণ মানুষের যাতায়াত ছিল নিষিদ্ধ। বেলা ১২টায় এই মামলায় শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও তড়িঘড়ি বিচারপতি এসে ১০টার মধ্যে শুরু করা হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে তা শেষ হলে কনভয়ের মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে বেরিয়ে যায় রাজ্য পুলিশ।

তিনটি গাড়ির কনভয়ের মধ্যে মাঝের গাড়িতে তাঁকে বসানো হয়। দুই পাশে পুলিশ এবং মাঝে তৃণমূল নেতাকে নিয়ে পুলিশ দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যায়। সংবাদমাধ্যম যাতে কোনওভাবে তাঁদের অনুসরণ না করে তাই হাইওয়ে ধরে কয়েক মিনিটের মধ্যে মিলিয়ে যায় কনভয়। এই মুহূর্তে ভবানী ভবন চত্বরে রয়েছে কড়া পুলিশি পাহাড়া। তদন্তস্বার্থে সেখানেই শাহজাহানকে রাখা নিরাপদ মনে করছে তদন্তকারী অফিসাররা।