জানা যাচ্ছে, গত শনিবার বিধাননগর কমিশনারেডের অধীনে নেতাজি সুভাষ বোস আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর পুলিশ স্টেশনে অভিযোগ জানায় নির্যাতিতার পরিবার। এয়ারপোর্ট ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার ঐশ্বর্য সাগর জানিয়েছেন, বিমানে মহিলার পাশেই বসেছিলেন দীনেশ। ফ্লাইটে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে তাঁর শরীরে স্পর্শ করেছিলেন জিন্দল গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ভলকান গ্রীন স্টিলের কর্তা। এমনকী এই ঘটনার সময় বাধ্য হয়ে মহিলা চিৎকার করে বাকিদের জানায়। তখন তাঁকে বিমান কর্মীরা সহযোগীতা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, এই বিমান আবু ধাবি হয়ে বস্টনে যাওয়ার কথা ছিল। ওই মহিলার গন্তব্য ছিল বস্টন অন্যদিকে দীনেশের যাওয়ার কথা ছিল ওমানে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই মহিলা বস্টনে পৌঁছে প্রথমে কলকাতা বিমানবন্দর থানায় মেইল করে গোটা ঘটনা জানান। কিন্তু সেখানে তাঁকে বলা হয় এফআইআরে একমাত্র তাঁর সাক্ষর থাকলেই অভিযোগ নেওয়া হবে। এরপর শনিবার তাঁর বাবা-মা ই সিগনেচারের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেয়।
অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওমান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে দীনেশকে। যদিও তিনি কবে আসবেন সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। অন্যদিকে, তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা অনুসারে সেকশন ৭৪, ৭৫ ও ৭৯ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।