১৮২ জন প্রেমিকার সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও তুলে ব্ল্যাকমেল(Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ১ ফেব্রুয়ারি: প্রেমিকার (Girl Friend) সঙ্গে প্রেমের (Love Affair) অভিনয় (Acting) করে শারীরিক সম্পর্ক (Physical Relation) তৈরি। তারপর তাঁদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি-ভিডিও তুলে ব্যাকমেলিং (Blackmail)। এ যেন নিত্যদিনের অভ্যেস থেকে ব্যবসায় পরিণত হয়েছিল আদিত্য আগরওয়াল (aditya Aggarwal) এবং অনীশ লোহারকার (Anish Loharkar)। অবশেষে ঘটনা যখন সবার সামনে এল তখন দেখা গেল কমপক্ষে ১৮২ জন মহিলার এমন ভিডিও (Video) জমিয়ে ফেলেছে তাঁরা।

জানা গিয়েছে, ওইসব মহিলাদের কাছ থেকে রীতমতো ব্ল্যাকমেলিং করে টাকা আদায় করত তাঁরা। কলকাতার সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান বলেই পরিচয় পাওয়া গিয়েছে ওই দুই যুবকের। পেশায় তারা ব্যবসা করত বলেও জানা গিয়েছে। তাদের ফাঁদে পড়েছেন অন্তত ১৮২জন মহিলা। স্কুলবেলা (School Life) থেকেই তারা হাত পাকিয়েছিল পর্ন (Porn) তৈরির কাজে। গত ৬ বছর ধরে নিখুঁতভাবে এই চক্র চালানোর পর চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার পুলিশের জালে (Police Trap) ধরা পড়ে দুই গুণধর। ঘটনার তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন, ওরা বন্ধুদের মধ্যেও ভিডিও আদানপ্রদান করত। ওদের সঙ্গে যুক্ত ছিল কৈশাস যাদব বলে আরও একজন যুবক। এই কৈশাস যাদব লোহারকার বাড়িতে রান্নার কাজ করত। গ্রেফতার করা হয়েছে তাকেও। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পুলিশ ১০টি ধারায় মামলা দায়ের করেছে। ওই ১৮২ জনকেই নিয়মিত ব্ল্যাকমেল করে টাকা তোলা হত। তাঁদের প্রত্যেকের নামে একটি করে ফোল্ডার (Folder) পর্যন্ত বানিয়ে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। আর প্রতিটা ফোল্ডারেই বিভিন্ন মহিলার সঙ্গে যৌন সম্পর্করত অবস্থায় ভিডিও রয়েছে। অন্যদিকে নিজেদের বাড়ির ছেলেদের বাঁচাতে ২২জন আইনজীবী নিযুক্ত করেছে আদিত্য-অনীশের পরিবার। জানা গিয়েছে, আদিত্যের পরিবার জনপ্রিয় পোশাকের ব্র্যান্ডের (Dress Brand) ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। অন্যদিকে, লোহারকা পরিবারের কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় হোটেল ব্যবসা (Hotel Business in Kolkata) রয়েছে। আরও পড়ুন: Man Slept Next To His Dead Wife's Body: স্ত্রীর মৃতদেহর সঙ্গে তিনদিন একই ঘরে কাটাল ব্যক্তি

আদিত্যদের শিকার হওয়া মহিলারা জানিয়েছেন তাঁদের কেউ কেউ ভিডিও করার সময় 'মজা' করে সম্মতি দিতেন। আবার কখনও বা লুকিয়ে ভিডিও রেকর্ড করা হত। গত বছর নভেম্বরে একজন বিবাহিত মহিলা (Married Girl) অভিযোগ করেন ওই দুজনের বিরুদ্ধে। এফআইআরও দায়ের করা হয়। যেখান তিনি অভিযোগ করেন, অপরিচিত একজন ফোন করে ১০ লাখ টাকা দাবি করে তাঁর কাছে। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, ওই টাকা না দিলে ভিডিওটি অনলাইনে আপলোড করে দেওয়া হবে। মহিলা ওই টাকা দিতে অস্বীকার করে ওই দুজনের নামে এফআইআর (FIR) করেন। তারপরই পুলিশ তদন্তে নামে। অবশেষে জালে পড়ে ওই দুই যুবক।