চাকদা, ৩১ জানুয়ারি: তিনদিন ধরে স্ত্রীর পচাগলা দেহের (Decomposed body) পাশে এক বিছানায় ঘুমোলেন স্বামী। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার (Nadia) চাকদার (Chakdaha) মদনপুরের পূর্বপাড়ায়। মৃতার নাম ভারতী চন্দ (৫০)। আজই উদ্ধার হয় ওই মহিলার পচাগলা দেহ। স্বামী মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানা গেছে। ২৪ ঘণ্টার খবর অনুযায়ী, ৯ মাস আগে ওই এলাকার বাসিন্দা দীপিকা গাঙ্গুলি নামে এক মহিলার বাড়িতে ভাড়া আসেন ভারতী চন্দ এবং তাঁর স্বামী বাচ্চু চন্দ। সোমবার রাতে ওই গৃহবধূকে শেষবারের জন্য দেখা গেছিল বাড়ির বাইরে। এরপর তিনদিন ধরে তাঁকে আর বাড়ির বাইরে দেখা যায়নি। ভারতী চন্দকে দেখতে না পেয়ে প্রতিবেশীরা তাঁর স্বামীকে ওনার কথা জিজ্ঞাসা করেন। তখন স্বামী বাচ্চু চন্দ জানান, ঘরে শুয়ে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী।
প্রতিবেশীরা এরপরই ঘরে গিয়ে দেখেন বিছানায় চাদর দিয়ে মুখ ঢাকা অবস্থায় শোয়ানো রয়েছে ভারতী চন্দের দেহ। দেহে পচন ধরে গিয়েছে। দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। চাকদা থানায় খবর দিলে পুলিস এসে রাতেই দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত তিন দিন আগেই মৃত্যু হয়েছে ভারতীদেবীর। জানা গেছে, তিনি লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। স্বামী বাচ্চু চন্দ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। যার ফলে তিন দিন ধরে পচাগলা দেহের পাশে একই বিছানায় শুয়ে ঘুমোলেও তিনি স্ত্রীর মৃত্যু টের পাননি বলে মনে করা হচ্ছে। আরও পড়ুন: Mask For Coronavirus: মিলছে না করোনাভাইরাসের উপযোগী মাস্ক, কমলালেবুর খোসা, ব্রা, প্লাস্টিকের জারকেই মুখোশ করে মুখে জড়িয়ে ঘুরছেন চিনারা
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অসুস্থতার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ভারতী চন্দর। যদিও বাদবাকি সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শুরু হয়েছে তদন্ত। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে পাঠানা হয়েছে।