প্রতীকী ছবি (Photo Credit: File Photo)

স্কুলের কক্ষ থেকে উদ্ধার শিক্ষকের নিথর দেহ। মৃত শিক্ষকের নাম সৌরভ কুমার রায়, বয়স ৩২। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির (Siliguri) ফাঁড়াবাড়ি স্পেশাল ক্যাডার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত মঙ্গলবার দুপুর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। অবশেষে ওদিন রাতেই স্কুলের একটি ঘর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। এই ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে ওই এলাকায়। পরিবারের দাবি, আত্মহত্যা নয়, সৌরভকে খুন করা হয়েছে। আর এরজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষই দায়ী। যদিও স্কুলের প্রধান শিক্ষক এই অভিযোগ মানতে নারাজ। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

পরিবারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালেও ১১টা নাগাদ স্কুলে যান শিলিগুড়ির বাদুরবাগানের বাসিন্দা সৌরভ। দুপুর ২ টোয় ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এদিন সে ফেরেননি। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে প্রথম চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। তখন থেকেই এই স্কুলে কর্মরত। অভিযোগ, স্কুলে বাকি সহকর্মীদের থেকে সৌরভ বয়সে ছোট ছিলেন বলে অনেকেই তাঁকে হেয় করত। এমনকী প্রধান শিক্ষকও নাকি এরকম করতেন। এই কারণে মাঝেমধ্যেই স্কুল যেতে চাইতেন না।

মঙ্গলবার বাড়ি ফেরার সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও যখন সৌরভ বাড়ি ফিরছিলেন না, তখন বেলা ৩টে নাগাদ তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের বাকি সদস্যরা স্কুলে গিয়ে দেখেন যে তালাবন্ধ রয়েছে। প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন স্কুল নাকি পুরোপুরি ফাঁকা রয়েছে। এরপর পরিবারের সদস্যরা আশিঘর ফাঁড়িতে গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান। তারপরেই শুরু হয় তদন্ত। পুলিশের দাবি, সৌরভের ফোন নম্বর প্রথমদিকে ট্র্যাক করে দেখা যায় ফোনটি কখনও নকশালবাড়ি রয়েছে, কখনও আবার নেপাল বর্ডারের কাছে দেখাচ্ছিল।

এরপর সন্ধ্যার দিকে স্কুল কর্তৃপক্ষই পরিবারকে জানায় যে স্কুলের একটি ঘরে রহস্যজনক কিছু দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ততক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পুলিশ সহ পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখে ঝুলন্ত অবস্থা রয়েছে সৌরভের দেহ। যদিও দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। পোশাক, চুল, চশমা সবকিছুই পরিপাটি অবস্থায় ছিল। আর সেই কারণেই পুলিশের আরও সন্দেহ হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। বর্তমানে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।