অর্চনা মজুমদার (হবিঃANI)

কলকাতাঃ হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পুকুর(Pond) থেকে উদ্ধার আদাবাসী যুবতীর দেহ। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির(Sandeshkhali) ন্যাজাট থানার ঘোষপুর এলাকায়।।  যুবতীর দেহ উদ্ধারের পরদিনই সন্দেশখালিতে পৌঁছল জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। রবিবার ন্যাজাট থানার ঘোষপুর এলাকায় যান মহিলা কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। মৃতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন অর্চনা মজুমদার। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি। শুধু তাই নয় রাজ্যের নিরাপত্তা এবং গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। অর্চনার অভিযোগ, যুবতী নিখোঁজ হওয়ার পরই থানায় ডায়ারি করা হয়। কিন্তু পুলিশ কেন তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ তৎপর হলে এমন ঘটনা ঘটত না বলেও দাবি তাঁর। তদন্তের গতি প্রকৃতি সম্পর্কেও খোঁজ খবর নেন তিনি। প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেল চারটে নাগাদ বাড়ির পাশেই একটি মাঠে ছাগল চরাতে গিয়েছিলেন ওই তরুণী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মা। কিছুক্ষণ পর মা অন্য কাজে গোয়ালঘরে চলে যান। তারপর ফিরে আর মেয়ের দেখা মেলেনি। কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে। এরপরপি ন্যাজাট থানায় নিখোঁজ ডায়ারি করে নির্যাতিতার পরিবার। শুরু হয় খোঁজ। ড্রোন উড়িয়ে শুরু হয় তল্লাশি। এরপর শনিবার গ্রামেরই এক পুকুরে যুবতীর দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। বিষয়টি জানাজানি হতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রাথমিকভাব অনুমান ধর্ষণ করে খুন  করা হয়েছে তাঁকে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

সন্দেশিখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশন, নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস