সন্দেশখালিতে ধর্ষণের ঘটনা গোটা দেশে ছড়িয়ে গিয়েছে। প্রতিবাদের প্রতীকী হিসেবে সন্দেশখালির গৃহবধূ প্রতিবাদী রেখা পাত্র-কে বসিরহাট লোকসভায় প্রার্থীও করেছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভোটপ্রচারের জনসভায় সন্দেশখালি ধর্ষণের প্রসঙ্গে এনে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকারকে তুলোধনা করছেন। মোট কথা সন্দেশখালিকাণ্ডে লোকসভা ভোটের আগে মুখ পুড়েছিল শাসকদলের।
কিন্তু শনিবার দুপুর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের গতিতে ছড়িয়ে পড়া বসিরহাটের এক বিজেপি নেতার ভিডিয়ো যদি সত্যি হয়, তাহলে সন্দেশখালিতে ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো বলে দাবি করছেন তৃণমূল কর্মী, সমর্থক-রা। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে সন্দেশখালি ২ ব্লকের বিজেপির 'মণ্ডল সভাপতি' গঙ্গাধর কয়াল গোপন ক্যামেরায় তোলা ভিডিয়োতে স্বীকার করছেন, সন্দেশখালির ধর্ষণ-সহ বিভিন্ন অভিযোগ পূর্ব পরিকল্পিত, সাজানো। পাশাপাশি তিনি স্বীকার করেছেন সন্দেশখালিতে টাকা দিয়েই ধর্ষণের অভিযোগের আন্দোলন ছড়িয়েছিল।
দেখুন ভিডিয়ো
The shocking Sandeshkhali sting shows how deep the rot is within the BJP. In their hatred for Bengal's progressive thought & culture, the Bangla-Birodhis orchestrated a conspiracy to defame our state on every possible level.
Never before in the history of India has a ruling… https://t.co/50QUParP16
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 4, 2024
ভাইরাল ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, প্রশ্নকর্তা গঙ্গাধরকে বলছেন, "দাদা, তোমরা কী লেভেলের কাজ করেছ, বুঝতে পারছ? ধর্ষণ হয়নি, তাকে ধর্ষণ বলে চালিয়েছ! তোমার বাড়ির বৌ-কে দিয়ে এই কাজ করাতে পারতে? আমরা তো পারব না।" এই প্রশ্ন শুনে সম্মতিসূচক হাসি হাসতে দেখা গিয়েছে গঙ্গাধরকে।
দেখুন ভিডিয়ো
"In the FIR we had written that the rape incident happened 7-8 months ago, so that there would NO SCOPE of Medical Examination"
- Sandeshkhali BJP Mondal President.#SandeshkhaliExposed pic.twitter.com/uqnqGETvGM
— Nabarun Bhattacharya (@Nabarun204) May 4, 2024
এরপর ভিডিয়োটিতে প্রশ্নকর্তা বলছেন, "কী ভাবে ওদের 'ব্রেনওয়াশ' করালেন?" উত্তরে গঙ্গাধর বলেন, "শুভেন্দুদার কথামত আমরা এই কাজ করেছি। উনি আমাদের সাহায্য করেছেন। শুভেন্দুদা বলেছেন, এটা না করলে, তাবড় তাবড় লোকদের গ্রেফতার করানো যাবে না। আমরাও ওখানে দাঁড়াতে পারব না।" ভিডিয়োর একটা সময় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর বলছেন, "এই আন্দোলন এত দিন চলছে কেন? তিনটে ছেলে এ দিক ও দিক যাচ্ছে, গোটা বিষয়টি পরিচালনা করছে। শুভেন্দুর আমাদের উপরে আস্থা আছে। শুভেন্দু এক বার ঘুরে গিয়েছে, তাতেই আন্দোলন এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।" এরপর ভিডিয়োর শেষের দিকে গঙ্গাধর স্বীকার করছেন, "শুভেন্দু টাকা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে গিয়েছেন তাঁদের। কারণ, এই ধরনের কাজ খালি হাতে হয় না।"
তবে এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি লেটেস্টলি মিডিয়া। নির্বাচনের মুখে অনেক সময়ই ভুয়ো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তবে এই ভিডিয়োটি ভুয়ো তা এখনও বিজেপির কোনও নেতা দাবি করেননি। বিজেপি-র দাবি তাদের নেতা গঙ্গাধর কয়াল মানসিক দিক থেকে সুস্থ নয়।