বিদ্যুৎ দফতরের কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি (Photo:wikimedia commons)

কলকাতা, ২৩ ফেব্রুয়ারি: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা আগেই করেছিল রাজ্য সরকার। শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ঘোষণায় শিলমোহর দিল রাজ্য সরকার। ডিসিএল, টিসিএল, ডব্লুবিপিডিসিএল ও ডিপিএল-এর সমস্ত কর্মচারীকে বেতন বৃদ্ধির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চ্যাটার্জি (Sovandeb Chatterjee) গতকাল সল্টলেকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে একথা জানান।

বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করল বিদ্যুৎ দফতর। বেতন বৃদ্ধির কথা জানিয়ে মন্ত্রী এদিন বলেন, “রাজ্যের সঙ্গে আনুপাতিক হারে বেতন বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে কর্মচারীরা (Workers) উপকৃত হবেন।” এর সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রীর বক্তব্য, “বেতন বৃদ্ধির পর কর্মচারীরা উৎসাহ পাবেন। আমাদের দপ্তর পরিষেবামূলক কাজে আরও অতিরিক্ত সময় ব্যয় করবে, যাতে দ্রুততার সঙ্গে উন্নতমানের বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া যায় আরও বেশি মানুষের কাছে।”বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত বেতন বাবদ বাৎসরিক প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। দপ্তরের তিনটি কর্পোরেশন মিলিয়ে ২১ হাজার কর্মচারী এর আওতায় আসবেন। নয়া বেতনক্রমের আওতায় থাকবেন অবসরপ্রাপ্তরাও। অস্থায়ী কর্মচারীরা এর আওতায় আসছেন না। শ্রম দপ্তরের গাইডলাইন মেনে তাঁদের বৃদ্ধির বিষয়টি ঠিক হবে। এর পাশাপাশি বিদ্যুৎ অনুদান বাবদ চতুর্থ শ্রেণির জন্য ৮০০, তৃতীয় শ্রেণির জন্য ১০০০ ও দ্বিতীয় ও প্রথম শ্রেণির আধিকারিকদের জন্য ১৩০০ টাকা করে ধার্য করা হয়েছে। চিকিৎসা অনুদান নির্দিষ্ট হয়েছে গড়ে ৫০০ টাকা করে। আরও পড়ুন: Tragedy In Cockfight: মোরগ লড়াইয়ের আসরে প্রতিপক্ষ মোরগের আক্রমণ মৃত্যু মালিকের

সংবাদ প্রতিদিনের খবর অনুযায়ী রাজ্যে বিদ্যুতের দাম (Cost) সম্পর্কে মন্ত্রী জানিয়েছেন, “দেশের অধিকাংশ রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের দাম কম। মুখ্যমন্ত্রী মানুষের উপর চাপ বাড়াতে নিষেধ করে দাম বৃদ্ধি করতে বারণ করেছেন। তার জন্য রাজ্য সরকার বিপুল টাকার ভরতুকি দিচ্ছে।” আরও একটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন মন্ত্রী। সেটি হল কৃষিক্ষেত্রে বিদ্যুতের ব্যবহার। তিনি জানিয়েছেন, বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই পিক আওয়ার বাদ দিয়ে চাষের জন্য জল তোলার ক্ষেত্রে অনেক কম টাকা ধার্য করে বিদ্যুৎ দপ্তর।