গোয়ালপোখরেতে পুলিশকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে দিনকয়েক আগেই পালিয়েছিল এক জেলবন্দি। এই ঘটনার পর থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু হয় অভিযুক্ত সাজ্জাক আলমের (Sajjak Alam) বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁকে ধরতে ২ লক্ষ টাকার পুরস্কারও ঘোষণা করে উত্তর দিনাজপুর থানার পুলিশ। অবশেষে শুক্রবার পুলিশ গোপনসূত্রে খবর পায় যে সাজ্জাক বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে। আর সেই মতো জোরকদমে চলে তল্লাশি অভিযান। অবশেষে  কিচকটোলা সেতুর ওপর সাজ্জাককে দেখা যায়।

পুলিশের গুলিতে মৃত্যু সাজ্জাকের

এরপর গভীর রাতেই শুরু হয় এনকাউন্টার অভিযান। পুলিশসূত্রে খবর, সীমান্ত পেরোনোই উদ্দেশ্য ছিল তাঁর। আর সেই কারণে পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় সে। আর সেই কারণেই আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা পুলিশও গুলি চালায়। ৩ থেকে ৪ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। আর তারপরেই গুরুতর জখম অবস্থায় লুটিয়ে পড়ে সে।

জাভেদ শামিমের হুঁশিয়ারি

এরপর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে লোধন গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতালসূত্রে খবর, সাজ্জাকের দেহে তিনটি গুলি লেগেছে। পায়ে, পিঠে ও পেটে গুলি লেগেছে। এই ঘটনার পর রাজ্য পুলিশের এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকদের। এই ঘটনার কয়েকঘন্টা আগেই অবশ্য তিনি সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন, "পুলিশের ওপর গুলি চালালে পাল্টা তাঁদের ওপর চারগুন গুলি চলবে"।