আরজি করে (RG Kar Hospital) তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং নৃশংস খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে এবার হাসপাতালের চার জুনিয়র চিকিৎসককে ডেকে পাঠাল লালবাজার। জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হলে ঘটনার আগে সেদিন ঠিক কী কী ঘটেছিল সেই সমস্ত কিছু নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী দল। জানা যাচ্ছে, ওই চারজন সহকর্মীর সঙ্গে রাতে শেষবার খাবার খেয়েছিলেন মৃতা চিকিৎসক। সোমবার বেলা ১১টার মধ্যে তাঁদের লালবাজার পৌঁছতে বলা হয়েছে।
তদন্তকারী সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাতে মৃত জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে যে চার জন সহকর্মী এদিন ছিলেন তাঁদের বয়ান রেকর্ড করার জন্যে লালবাজার থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার নাইট ডিউটিতে ছিলেন যুবতী চিকিৎসক। অনলাইনে খাবার অর্ডার করে খেয়েছিলেন সকলে মিলে। অলিম্পিকে নীরজ চোপড়ার জ্যাভলিন থ্রো দেখেন বাকিদের সঙ্গে বসে। এরপর সেমিনার হলে একটু বিশ্রাম নেবেন ঠিক করেন তিনি। রাত ৩টের দিকে এসে এক রোগীর রক্তপরীক্ষার রিপোর্ট তাঁকে দেখিয়ে গিয়েছেন নার্স। এরপর ৪টে থেকে সাড়ে ৪টের মধ্যে ঘটে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পেরেছে, ভোর ৪টের দিকে সেমিনার হলে প্রবেশ করে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার। ঠিক ৩৫ মিনিট পর বেরিয়ে যায় সে।
গত ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Hospital) জরুরি বিভাগের চারতলার সেমিনার হল থেকে বছর ৩১-এর যুবতী চিকিৎসকের অর্ধনগ্ন মৃত দেহ উদ্ধার ঘিরে আলোড়ন ছড়িয়েছে। রাজ্যজুড়ে সরকারি হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসকের এমন নির্মম পরিণতির ঘটনার বিক্ষোভ কেবল রাজ্যের মধ্যে থেমে নেই। দিল্লি, ভোপালের জুনিয়র চিকিৎসকরাও পথে নেমেছেন। মোমবাতি মিছিল করেছেন।