পীযূষ গয়াল (Photo Credit: Twitter)

কলকাতা, ৯ মার্চ: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে বিপর্যস্ত স্ট্র্যান্ড রোডের (Strand Road Fire) পূর্বরেলের সদর দপ্তর নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিং। আগুন লাগার পরেও ওই ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়নি। চলেছে দুটি লিফটও। প্রথমে দমকলের ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার লিফট। এর পরেই আগুন নেভানোর কাজে গতি আসে। এদিকে ইতিমধ্যেই এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে  জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। মৃতদের তালিকায় পূর্বরেলের আধিকারিক, পুলিশকর্তা থেকে শুরু করে দমকল কর্মীরাও আছেন। দমকল কর্মীরা কেন প্রশিক্ষণ ভুলে আগুনের মধ্যে লিফটে চড়লেন, তানিয়েই উঠছে প্রশ্ন। গোটা ঘটনায় দমকলের তরফে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এক টুইটে আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। আরও পড়ুন-Strand Road Fire: আগুন লাগার পরেও রেলভবনে চালু লিফট, বিভাগীয় তদন্তে দমকল

জানা গিয়েছে, নিছক দুর্ঘটনার জেরে এই বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড না কি এর নেপথ্যে কোনও অন্তর্ঘাত রয়েছে তা জানতে উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করবে রেল। রেলের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এই তদন্ত কমিটিতে থাকবেন রেলেরই চার উচ্চপদস্থ কর্তা। এই তদন্তকারী দলের নেতৃত্বে থাকবেন রেলের মুখ্য নিরাপত্তা অফিসার জয়দীপ গুপ্তা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রাতে গিয়েছিলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ যোশী। উচ্চপর্যায়ের তদন্তের পাশাপাশি তিনি বলেছেন, “রাজ্য সরকার যদি তদন্ত শুরু করে, তাহলে রেলের তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে।” এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে যাত্রী সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি যাত্রী সংরক্ষণ সম্পর্কিত তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, অগ্নিকাণ্ডের সময় দুটি লিফট চালু ছিল। তাতেই আটকে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। লিফটের দরজা খুলতেই ঝলসে মৃত্যু হয় তাঁদের। এদিকে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর দাবি, বিপদের সময় কাজ করেনি অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র। এমনকী অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত ছিল না বলে অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী রেলের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করলেও, তা খারিজ করে দিয়েছেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার মনোজ জোশী। তবে এই বিল্ডিংয়ের ম্যাপ দিতে না পারার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রেলের ওই কর্তা।