কলকাতা, ৫ নভেম্বর: আবার বাড়ল আলুর (Potato) দাম। আগামীদিনে আলুর দাম আরও বাড়তে পারে বলেই মিলেছে খবর। প্রতিদিন হিমঘর (Cold Storage) থেকে আড়তে আসার সময় আলু দাম বস্তা পিছু ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করে বেড়েই চলেছে। সিঙ্গুর রতনপুর এলাকায় চন্দ্রমুখী আলু দাম বস্তা প্রতি দাঁড়িয়েছে ৯৫০ টাকা। জ্যোতি আলুর দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫০ টাকা। ইতিমধ্যেই আলুর এই দাম বৃদ্ধির জন্য ব্যাবসায়ীরা রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছে।
চাহিদা রয়েছে কিন্তু ভাঁড়ারে টান। উৎসবের মরশুমে লাফিয়ে বাড়ছে আলুর দাম। ফলে মাথায় হাত গৃহস্থের। রোজকার খাবার বলতে মধ্যবিত্তের পাতে পেট ভরা ভাত (Rice), মোটা ডাল আর একটু আলুভাতে। এখন সেই খাবার পাতে তুলতে গিয়েও পাঁচবার ভাবতে হচ্ছে। আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের মত জেলাগুলি থেকে আলু ভিনরাজ্যে যাওয়ায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ও আলু সংরক্ষণকারীরা আলুর দাম (Price) ক্রমশ বাড়িয়ে চলেছে। খোলা বাজারে চন্দ্রমুখী আলু ২৫ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে। জ্যোতি আলু কেজি প্রতি ১৬ থেকে ১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক বস্তা (৫০ কেজি) জ্যোতি আলুর দাম পড়ছে ৮০০-৯০০ টাকা, চন্দ্রমুখী ১২৫০-১৩০০ টাকা। আলু ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, এখনও রাজ্যের হিমঘরগুলিতে সাড়ে ১৬ লক্ষ টন আলু মজুত রয়েছে। কিন্তু সেই আলুর একাংশ চলে যাচ্ছে ভিনরাজ্যে। আর এক অংশ চাষিরা পরবর্তী আলু মরশুম চাষের জন্য বীজআলু হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখছেন। তাই রাজ্যে আমুর বাজারে জোগানে টান। আরও পড়ুন: IISF Inaugurate By Narendra Modi: কলকাতায় নয়, দিল্লিতে বসেই ভারতীয় আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে ভিন রাজ্যে অবাধে আলু রফতানির উপর নিয়ন্ত্রণ জারি করেছিল রাজ্য সরকার (west Bengal Government)। ফলে আলু ব্যবসায়ীরা রাজ্য সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হন। এবার সে পথে হাঁটেনি সরকার। এ রাজ্যে আলুর উৎপাদন কম হয়েছিল বিগত মরশুমে। ফলে হিমঘরগুলিতে আলু মজুতের পরিমাণও কমে যায়।