
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বিরুদ্ধে এবার তাঁর পরিবার। নিজের মেয়ের জামাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন নিউ ইয়র্কে থাকলেও এই মামলায় জেরার মুখে পড়েছিলেন কল্যাণময় ভট্টাচার্য। সেই কারণে দেশে আসার পর থেকেই সে ফিরে যেতে পারছিল না। তাই বাধ্য হয়ে ইডির কাছে রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তবে রাজসাক্ষী হওয়ার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মাফ করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
গোপন জবানবন্দি দিতে পারেন কল্যাণময়
জানা যাচ্ছে, এদিন ইডির বিশেষ আদালতে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। এবং তা মঞ্জুরও করেছে। জানিয়েছেন, নিজের ইচ্ছাতেই রাজসাক্ষী হতে চেয়েছেন তিনি। আদালতের তরফ থেকে তদন্তকারীদের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই গোপন জবানবন্দি দেবেন কল্যাণময় ভট্টাচার্য। জানা যাচ্ছে, তাঁর সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করতেন পার্থ। ফলে সে রাজসাক্ষী হওয়ার কারণে আরও চাপে পড়তে চলেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।
পিংলায় বেসরকারী স্কুলের সূত্র ধরেই উঠে আসে পার্থর জামাইয়ের নাম
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। তারপর তদন্তসূত্রে ইডির হাতে আসে পিংলার একটি বেসরকারী স্কুল। সেই স্কুলটি ছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে। জানা যায়, এই স্কুলের চেয়ারম্যান পদে রয়েছে তাঁর জামাই কল্যাণময়। মার্কিন মুলুকে বসে তিনি সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করতেন। তারপরেই তাঁকে একাধিকবার তলব করা হয়। এর মাঝেই ২০২২ সালে ইডির তলবে সারা দিয়ে জেরায় বসেন। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরেও আসেন তিনি। তারপর থেকেই হাইকোর্টের নির্দেশে সে দেশের বাইরে যেতে পারছিলেন না।