Shantiniketan Basanta Utsav: দোল উৎসবের দিনই বসন্ত উৎসব শান্তিনিকেতনে, জট কাটালেন পার্থ চ্যাটার্জি
শান্তিনিকেতনে দোলের আগেই বসন্ত উৎসব (Photo Credits: Puja Mandal)

কলকাতা, ২৪ জানুয়ারি: শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যশালী বসন্ত উৎসব (Shantiniketan Basanta Utsav) ঘিরে জটিলতা কাটল। আগের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসে দোল উৎসবের দিনই বসন্ত উৎসবের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষ। আইনশৃঙ্খলার কারণে এ বছর প্রথা ভেঙে দোল উৎসবের ২০ দিন আগে শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব আয়োজনের চিন্তাভাবনা করছিল কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছিল, ১০ মার্চ দোল হলেও বসন্ত উৎসব হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। যার বিরোধিতা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি (Education Minister Partha Chatterjee)। এবার তারই হস্তক্ষেপে জট কাটল। দোল উৎসবের দিনই বসন্ত উৎসব হবে শান্তিনিকেতনে, জানা গিয়েছে এমনটাই।

শুধু তাই নয়, এ বারের বসন্ত উৎসব কেবলমাত্র বিশ্বভারতীর পড়ুয়া ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার বিষয়েও কর্তৃপক্ষ ভাবছিল। এই খবর বাইরে আসা মাত্র শুরু হয়েছিল বিতর্ক। এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেন শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। আর এতেই জটিলতা কেটেছে। সূত্রের খবর, বসন্ত উৎসবের সময় রাজ্য সরকার (West Bengal Government) নিরাপত্তার সমস্ত ধরনের নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আর তার পরেই আগের অবস্থান বদল করে বিশ্বভারতী। স্থির হয়েছে, ঐতিহ্য অনুসারে এবারও দোলের দিনই বসন্ত উৎসব হবে। এ দিকে উৎসবের সময় নিরাপত্তা বিষয়টি দেখভালের জন্য একটি গঠন করেছে বিশ্বভারতী। কয়েকদিন পরে এই কমিটি কলকাতায় এসে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবে বলেও জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন: Jhargram Shocker: কোলে তুলে নাচ বৃহন্নলাদের, ঝাড়গ্রামে মৃত্যু দেড় মাসের শিশুর

গত বছরের বসন্তোৎসবে ভিড়ের চাপে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা দিয়েছিল। বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, বসন্ত উৎসবের নামে গোটা শান্তিনিকেতনের সাংস্কৃতিক, সামাজিক পরিবেশটাই সম্পূর্ণ নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এত মানুষের ভিড়ে প্রয়োজনীয় কাজটুকুও সারা যাচ্ছে না, রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা আটকে থাকছে অ্যাম্বুল্যান্সও (Ambulance)। সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর সমালোচনার মুখে পড়ে বিশ্বভারতী। যে কারণে এবার আর কোনও 'ঝুঁকি' নিতে চায়নি কর্তৃপক্ষ। তাই বসন্ত উৎসব নিয়ে ওমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।