বাঁকুড়া, ২৩ জানুয়ারি: সবেধন নীলমণি জলের ট্যাংক, সেটাই কিনা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) সারেঙ্গার ফতেডাঙা গ্রামে। ২০১৬ সালে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের উদ্যোগে ফতেডাঙা গ্রামে পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহের জন্য এই ট্যাংকটি তৈরি করা হয়। কলকাতার একটি ঠিকাদার সংস্থা এই ট্যাংকটি নির্মাণ করে। বুধবার বেলা তিনটে নাগাদ আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। ট্যাংকের মাঝ বরাবর প্রথম ফাটল দেখা যায়। তারপর হঠাৎই হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে। জলমগ্ন হয়ে যায় পাশের ক্ষেত এবং রাস্তাঘাট। এই ঘটনায় কেউ আহত না হলেও ট্যাংক নির্মাণকারী ঠিকদারি সংস্থার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, ১০ মিনিটের মধ্যেই পুরো ট্যাংকটি মাটিতে মিশে যায়। ভিতরে থাকা জলে গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এই ট্যাংকের জলেই স্থানীয় বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের প্রয়োজনীয়তা মেটাতেন। পানীয় জলের একমাত্র সংস্থান ভেঙে পড়ায় কার্যত বিপদেই পড়েছেন বাঁকুড়ার ওই এলাকার বাসিন্দারা। নির্মাণ কাজে গাফিলতি ছিল, ঠিকাদারি সংস্থা বাজে সিমেন্ট দিয়ে এই ট্যাংক তৈরি করেছিল বলেই দুবছরের মধ্যে এটি ভেঙে পড়েছে, ক্ষুব্দ বাসিন্দাদের দাবি। দিনের বেলা দুর্ঘটনাটি ঘটায় তা-ও লোকজন টের পেয়েছে। রাতে যদি ট্যাংকটি ভেঙে পড়ত তাহলে বিড়ম্বনার শেষ ছিল না। আরও পড়ুন-West Bengal Weather Update: ফের পারদ পতন, সপ্তাহান্তে জাঁকিয়ে শীত রাজ্যে
#WATCH West Bengal: An overhead water tank collapses in Sarenga, Bankura. (22.01.20) pic.twitter.com/U48ORwb8Ic
— ANI (@ANI) January 23, 2020
গভীর রাতে ট্যাংক ভেঙে পড়লে বিপদ বাড়ত, তা স্বীকার করে নিয়েছে সাড়েঙ্গা থানার পুলিশ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশের একটি দল। কীভাবে ট্যাংকটি ভাঙল তানিয়ে চলছে চাপানউতোর। প্রকৃত কারণ খুঁজতে শুরু হয়েছে তদন্ত। বিষয়টি নিয়ে বাঁকুড়া জেলা প্রসাসনের তরফে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।