মমতাকে পরামর্শ প্রশান্ত কিশোরের। (Photo Credits: PTI)

লোকসভায় (Loksabha election) আসন গিয়েছে ১৮ টা। রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে নাম উঠে এসেছে ভারতীয় জনতা পার্টির। সামনের ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে গুটি সাজাতে শুরু করেছে বাম-ডান সব পক্ষ। আর এরই মাঝে দাঁড়িয়ে কলকাতাসহ রাজ্যের বহু পৌরসভা নির্বাচন (Municipal election) রয়েছে সামনে এপ্রিল মাসে, যাকে বিধানসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল ধরছে' রাজনৈতিক মহল। আর তাই নিয়েই ঘুম উড়েছে রাজ্যের শাসকদলের বহু নেতার। কালীঘাট সূত্রে খবর এবার ভোটের টিকিট হারাতে পারেন কলকাতা সহ বহু পৌরসভার দুধে তৃণমূল নেতারা।

দীর্ঘ গণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ৩৪  বছরের বাম শাসনের সরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার। কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচন এটা প্রমাণ করে দিয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ই এ রাজ্যের শেষ কথা নয়, বরং ভোটে লড়ার জন্য চাই সঠিক ইলেকশন স্ট্র্যাটেজি। আর সেজন্যই তৃণমূল গাঁটছড়া বেঁধেছে ইন্ডিয়ান পলিটিকাল অ্যাকশন কমিটি তথা প্রশান্ত কিশোরের সাথে। তাই প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রতিবারের মতো এবার আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ববি হাকিম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক ব্যানার্জি রাই শেষ কথা নয়। বরং এক্ষেত্রে সর্বাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবার চলে যেতে পারে প্রশান্ত কিশোরের হাতে।

আরও পড়ুন: পারদ চড়তেই কমছে শীত, বিকেল থেকেই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস

'দিদিকে বলো' কিংবা 'টক টু মেয়র', ইত্যাদির মধ্য দিয়ে প্রশান্ত কিশোরের সমস্ত রাজ্যের মানুষের তৃণমূল বিরোধী অভাব-অভিযোগ, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, আঞ্চলিক নেতা নেতৃত্ব দের তোলাবাজি, সমস্তটাই নথিভূক্ত করেছেন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা তার ভিত্তিতেই এবার প্রার্থী তালিকা তৈরি করতে চলেছে জোড়া ফুল। যুব তৃণমূল থেকে অনেক নতুন মুখ এনে চমকও মিলতে পারে। তার উপর সিএএ, এনআরসি, এনপিআর বিরোধী আন্দোলনকে ঘিরেও বিজেপিকে বেশ কোণঠাসা করা গিয়েছে। নেতৃত্বের উপলব্ধি, এটাই শেষ কথা নয়। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে পুর ভোটে বড় ধরনের সাফল্য দরকার। তাই খোদ নেত্রী থেকে শুরু করে অন্য নেতারাও পুর ভোটের উপর বেশি জোর দিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গতকালই মুকুল রায়ের নেতৃত্বে বিজেপি তাদের পরবর্তী পৌরসভা নির্বাচনের কমিটি তৈরি করে ফেলেছে।