কলকাতা, ৬ ফেব্রুয়ারি: ইংরেজি নতুন বছরের শুরু থেকেই বৃষ্টি যেন সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়ে গিয়েছে। বাদ যায়নি সরস্বতী পুজোও। কলকাতার (Kolkata) আলো ঝলমলে উৎসব বইমেলাতেও বিড়ম্বনার ছাপ ফেলেছে বৃষ্টি। ফের রোদ্দুর নতুন দিনের আভাস দেখালেও আজ বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সৌজন্য পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা যখন ধেয়ে আসছে তখনই প্রবল বেগে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে। দুটোর মুখোমুখি সংঘর্ষেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে। মূলত রাজ্যের ওড়িশা লাগোয়া জেলাগুলিতেই হবে বৃষ্টি। চলবে শনিবার সকাল পর্যন্ত। এই তালিকায় গোটা দক্ষিণবঙ্গ রয়েছে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রায় সব জায়গাতেই।
এদিকে বৃষ্টির পূর্বাভাস পেয়েই বইমেলার মুখ শুকনো হয়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে বৃষ্টির দুর্বিপাক কাটিয়ে সবে ভিড় জমছিল। ফের যদি বৃষ্টি নামে তবে শুধু বিক্রিবাট্টাই নয়, স্টলগুলির অবস্থাও খারাপ হয়ে যাবে। কারণ এবারের গিল্ডের ব্যবস্থাপনা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ জমেছে প্রকাশকদের মনে। গত সপ্তাহের বৃষ্টিতে স্টলের ভিতরে জল চুঁইয়ে পড়ে অনেক বই ভিজেছে। ফের বৃষ্টির খবরে অতিরিক্ত ত্রিপলের ব্যবস্থা হলেও প্রবল বর্ষণে তা কতটা উপকারে আসবে এনিয়ে সন্দিহান প্রকাশকরা। অন্যদিকে মাঘের শেষে শীতের বিদায় ঘণ্টি একপ্রকার বেজে গেলেও, ফের ঘুরে দাঁড়িয়ে ঝোড়ো ব্যাটিং করছে হাড় কাঁপানো ঠান্ডা। দিনের বেলা ঝকঝকে রোদ্দুর বর্তমান তাকলেও রাতে নামছে পারদ। যদিও এবার পারদ চড়চড়িয়ে ওঠার পালা। তাই দক্ষিণা বাতাস এল বলে ঘরের দ্বারে। আরও পড়ুন-VHP On Ram Temple: ২০২৪-২৫ এর মধ্যেই রামমন্দির নির্মাণ সম্পূর্ণ হবে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরেপরেই বলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
এদিকে দক্ষিণবঙ্গে যতই বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকুক না কেন উত্তরবঙ্গে কিন্তু জমাটি শীত একেবারে কম্বল জড়িয়ে আপ্যায়ণ করছে। দার্জিলিং মাইনাসে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা। সেখানে সূর্যের দেখা নেই। দিনভর কুয়াশার চাদরে নিজেকে মুড়িয়ে রেখেছে পাহাড়ের রানি। রাতেও একেবারে অন্তরআত্মা কাঁপিয়ে দেওয়া ঠান্ডা উঁকি মেরে যাচ্ছে। শিলিগুড়িজুড়ে ঠান্ডার একেবারে জমাটি আসর। পিকনিক বিয়েবাড়ির আমেজ যেন সর্বত্র। তাই দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস তাকলেও উত্তরের বাসিন্দারা তানিয়ে বিশেষ ভাবিত নন।