কলকাতা, ৪ জানুয়ারি: কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) আর মুস্তাফিজুর রহমান (Mustafizur Rahman) নামে এক কলেজ পড়ুয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় বাদানুবাদ বাধে। বাবুল সুপ্রিয় ওই ছাত্রকে "তাঁর দেশে ফেরত পাঠানোর" কথা বলেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর পাল্টা জবাব দিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর "শিক্ষাগত যোগ্যতা" জানতে চেয়েছিলেন। তারপরেই বাবুল সুপ্রিয়র সেই টুইট নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে সোশ্যাল সাইটে। এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সেই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে বললেন ওই কলেজ ছাত্র।
এনডিটিভি বাংলার খবর অনুযায়ী, শুক্রবার ওই ছাত্র দাবি করেন, আমি কিছু চাই না, শুধু তিনি প্রকাশ্যে "শর্তহীন ক্ষমা চান' এটাই চাই। কিন্তু এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, "আমার মন্তব্য ওই ছাত্রের ধর্মকে উদেশ্য করে ছিল না। আমি কোনও বুদ্ধুর কাছে ক্ষমা চাইব না।" যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মঞ্চে এক ছাত্রী সবার সামনে সিএএ'র প্রতিলিপি ছিঁড়ে বলেছিলেন, "আমি এই আইন মানি না।" আরও পড়ুন, দায়িত্ব নিয়ে সংসদের ভার সামলাবেন বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান, বছরে মাত্র দুটি ছবি করার সিদ্ধান্ত অভিনেত্রীর
সেই ছবি ২৬ ডিসেম্বর শেয়ার করে ফেসবুকে সিএএ'র পক্ষে সরব হয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। সেই ছাত্রীর পারিবারিক সংস্কৃতি নিয়েও মন্তব্য করেছিল সেই পোস্টে। সেই পোস্টের নীচেই বীরভূমের ইলামবাজার কলেজের রসায়নের ছাত্র মুস্তাফিজুর রহমান মন্তব্য করেছিলেন: "বাবুল দা আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? আপনার গুরু দিলীপ ঘোষ তো গোরুর দুধ থেকে সোনা বার করেন।" এরপরেই পাল্টা মন্তব্যে বাবুল সুপ্রিয় বলেছিলেন, আগে তোমাকে তোমার দেশে ফেরত পাঠাই। তারপর পোস্টকার্ডে জবাব পাঠাবো।
ওই ছাত্র পাল্টা দাবি করে বলেছিলেন, "আমি এদেশে জন্মেছি, বড় হয়েছি, তার সব প্রমাণও আমার আছে। আমি চাই আপনি শর্তহীন ক্ষমা চান। এর থেকে কম বা বেশি কিছু চাই না।" ওই বিতর্কের পর আজ পিটিআইকে পড়ুয়া বলেন, "আমি দেখলাম, গোল্ড মেডেল পাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সিএএ-বিরোধিতায় নেওয়া ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন বাবুল সুপ্রিয় আর দিলীপ ঘোষ। তখন আমি বাধ্য হলাম মন্তব্য করতে।" পাশাপাশি সংবিধানের নামে শপথ করা এক মন্ত্রীর এই মন্তব্য দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্র।