দীর্ঘদিন ধরেই তাপস রায়ের সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ছিল। প্রথমে উত্তর কলকাতার জেলা সভাপতি পদ থেকে অপসারণ। তারপর তৃণমূলের যুব দিবসেরঅনুষ্ঠানের দিন সকালে পুর দুর্নীতি নিয়ে ইডির অফিসারদের জেরা। সব ঘটনাতেই মুখে কুলুপ আটেন শীর্ষ নেতৃত্ব। এরপর থেকেই অনিয়মিত হয়ে পড়েন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে। এরপর থেকেই জল্পনা শোনা যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন তাপস রায়।
আজ সকালেই সেই খবর পেয়ে তাঁর বাড়িতে ছুটে যান মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও কুনাল ঘোষ। কিন্তু বরফ গলল না। বিধানসভায় গিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর কথা বলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নিজের ইস্তফার কথা জানান বরানগরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তাপস রায়। তিনি বলেন, গত ১২ ই জানুয়ারি পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তার বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিযান চালিয়েছিল । সেই অভিযানের পিছনে উত্তর কলকাতার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরোক্ষ মদত রয়েছে বলে’ও তিনি অভিযোগ করেন।দীর্ঘদিন ধরে দল তাকে উপেক্ষা করে চলেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ইডি অভিযানের পর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি বলেও তিনি ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন।
দেখুন সেই ভিডিও-
#WATCH | Kolkata: Tapas Roy says, "I resigned because I felt that I am not respected in this party, many times such situations arose where I felt this. The ED team reached my house on January 12th, it has been many days since the incident took place but no sympathy or cooperation… https://t.co/aFZV55vKnn pic.twitter.com/bP24wsPjXW
— ANI (@ANI) March 4, 2024
Baranagar TMC MLA Tapas Roy tenders resignation from the post of MLA as well as from the party.
(file pic) pic.twitter.com/GUvG3BMvbX
— ANI (@ANI) March 4, 2024
এ দিন, বিধান সভা যাওয়ার পূর্বে তাপস সাংবাদিকদের জানান, “৫২ দিন হয়ে গেল। ইডি অভিযানে বিধ্বস্ত আমি ও আমার পরিবার। ভেবেছিলাম মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়াবেন।অন্য কারোর বাড়িতে গেল ইডি কৌটো নাড়ালে বলেন। আমারও স্ত্রী-পুত্র রয়েছে। এগুলো হৃদয়কে নাড়াচাড়া করে।”