কলকাতা, ১০ মে: পরিযায়ী শ্রমিকদের (Migrant Workers) ফেরাতে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত আবার তুঙ্গে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে (Mamata Banerjee) চিঠি লিখে শ্রমিকদের ঘরে ফেরার বিষয়ে একাধিক অভিযোগ তোলেন। তাঁর অভিযোগ মিথ্যা এই দাবি করে তৃণমূলও। সারাদিন জারি ছিল এই বিতর্ক। এরপর‘শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন’ নিয়ে এদিন রাতে রেলমন্ত্রক একটি টুইট করে। সেখানে দাবি করা হয়, অমিত শাহের চিঠির পরই শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে তত্পর হয়েছে রাজ্য। রেলমন্ত্রকের এই দাবি ভুল এবং বিভ্রান্তিকর বলে রাজ্যের তরফে পাল্টা টুইট করেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
টুইটে স্বরাষ্ট্রসচিব লেখেন-'রেলমন্ত্রকের টুইট বেঠিক এবং বিভ্রান্তিকর। এই ট্রেনগুলোর ব্যবস্থাপনা করা হয়ে গেছে।' এদিকে গতকালই লকডাউনের (Coronavirus Lockdown) জেরে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়া রাজ্যের নাগরিক ও পরিযায়ী শ্রমিকদের (migrant workers) ফেরত আনতে আরও ১০টি ট্রেনের অনুমোদন দেয় রাজ্য সরকার। ট্রেন চালানা নিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গেও কথা হয়েছে। ধাপে ধাপে বৃন্দাবন, মথুরা থেকেও বাংলার আটকে পড়া মানুষদের ফিরিয়ে আনা হবে। শনিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানান স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় (Home Secretary Alapan Bandopahyay)।
আরও পড়ুন, অন্য রাজ্যে আটকে পড়া নাগরিকদের ফেরাতে ১০টি ট্রেনের অনুমোদন রাজ্যের
Ministry of Railways tweet is misleading and incorrect. All the trains mentioned in their tweet were approved and communicated to the concerned States on 8 May( yesterday) or before, no new decision in this regard has been taken today. Further decisions to follow in due course. https://t.co/Z1OylX4we5
— Home Secretary - Govt. of West Bengal (@HomeSecretaryWB) May 9, 2020
কেরালা, তেলাঙ্গানা, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, বেঙ্গালুরু থেকে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। পাশাপাশি পঞ্জাব, কর্নাটকের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, "আশা করছি ট্রেনগুলি আসা নিয়ে সিদ্ধান্ত শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে। এদিন বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, আগামীকালই একটি ট্রেন তেলাঙ্গানা থেকে মালদায় পৌঁছবে। এরপর সমস্ত শ্রমিকদের মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।"
রাজ্য স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই ভিন্রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সচেষ্ট বলে জানানো হয়। শুধু তাই নয়, এর জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা আগেই করা হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের তরফে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন শনিবার, ৯ মে নতুন করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।