পূর্ব মেদিনীপুর, ৮ অক্টোবর: নবমীর রাতে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির (Panshkura Panchayat Samiti) সহ- সভাপতি কুরবান শাহ খুনের ঘটনায় বিজেপির দিকেই অভিযোগের তীর মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর (Minister Suvendu Adhikari)। মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এই খুনের পিছনে হাত রয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতা আনিসুর রহমানের। আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে ও পরিকল্পনাতেই খুন হয়েছে কুরবান শাহ।
এদিন তিনি পাঁশকুড়ার মাইসোরায় নিহতের বাড়িতে যান মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী ও বাকি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। নিহতের বাড়িতে বসেই শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, এলাকায় পাওয়া সিসিটিভিতে পাওয়া ফুটেজে অভিযুক্ত এই বিজেপি নেতাকে বেশ কয়েকবার দেখা গিয়েছে। তিনি-ই পরিকল্পনামাফিক পঞ্চায়েত সমিতির নেতাকে খুন করিয়েছেন বলে অভিযোগ জানান। আরও পড়ুন, 'ধর্ম পাল্টে ফেলুন' নুসরত জাহানকে বললেন দেওবন্দের মৌলানা; দুর্গাপুজোয় সামিল হওয়াকে ধর্মবিরোধী কাজ হিসেবেই দেখছেন তিনি
আজ তমলুক জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, এতদিন বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান জেলে ছিলেন। কিন্তু এবার জেলে ঢুকলে আর জেল থেকে বেরতে পারবেন না। জানান, "মৃতদেহকে সাক্ষী রেখে বলছি, এরপর ভেতরে ঢুকলে আর বেরোবে না।"
তবে মন্ত্রী ও তৃণমূলের এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি দল। গেতাদের পাল্টা দাবি, এই খুনের ঘটনার সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। এটি তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। প্রসঙ্গত, নবমীর রাতে মাইসোরা মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কুরবান শাহ। কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে দুষ্কৃতী দল তৃণমূল কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাথারি গুলি চালায় কুরবানকে লক্ষ্য করে। গুলিতে ঝাঝরা হয়ে যান তৃণমূল নেতা। খুনের পিছনে বিজেপি নেতা আনিসুর রহমান জড়িত বলে অভিযোগ। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যান আনিসুর। কুরবান এবং আনিসুরের মধ্যে রেষারেষি ছিল বলেও জানা গিয়েছে।