শীতলকুচির নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: ANI)

মাথাভাঙা, ১৪ এপ্রিল: মাথাভাঙায় শীতলকুচির (Sitalkuchi) নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ঘটনার তদন্ত হবে। দোষীদের সাজা হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা তদন্ত করা যায় তা আমরা করব।" নিহতদের স্মরণে  শহিদ বেদী তৈরি করে দিতে তিনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকে নির্দেশ দেন।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ছোট ছোট ছেলেরা মারা গেছে। দেখলাম একজনের স্ত্রী গর্ভবতী। একজনের বাচ্চা একেবারে শিশু। আমি মনে করি এই ঘটনার বিচার হওয়ার প্রয়োজন। যারাই করুক তাদের শাস্তির ব্যবস্থা আমরা করবই। ভোটটা মিটে যাক। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা তদন্ত করা যায় তা আমরা করব। আপনারা জানেন ঘটনার পরদিনই আসতে চেয়েছিলাম। আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি। আপনারা শান্ত থাকুন। উত্তেজিত হবেন না। কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা ছেড়ে কথা বলব না। দোষী ব্যক্তিরা শাস্তি পাবে। যতদূর যেতে হয় যাব। মৃত্যুর বিকল্প অর্থ হয় না। নিহতদের পরিবারকে রাজ্য সরকার সাহায্য করেছে। রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে অন্য যারা নিহত হয়েছে তাদেরও সাহায্য করা হবে। পরিবারগুলির দেখভাল করার জন্য যা যা করা দরকার আমি করব। দোষী যত বড়ই কেউ হোক না কেন, বিচার তাদের হবেই।" আরও পড়ুন: West Bengal Weather Update: বছর শেষ ও নববর্ষে রাজ্যে মারকাটারি গরম, বৃষ্টির দেখা নেই

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই শান্তি রক্ষা করুন। বুলেটের বদলে ব্যালটে জবাব দিতে হবে। নিহত আনন্দ বর্মনও আমরা এক রাজবংশী ভাই। তার খুনীদেরও আমি ধরবই। নিহতরা সবাই রাজবংশী। কেউ হিন্দু, কেউ মুসলিম। আমি মনে করি আগামীদিন মানুষ এর উত্তর দেবে। নিহতদের সবার একটা করে শহিদ বেদী তৈরি করে দিতে বলব আমাদের দলের সদস্যদের। দায়িত্ব রবিদের নিতে বলছি।

শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে নিহত হন চারজন। পরেরদিনই শীতলকুচি যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, সেদিন রাতেই নির্বাচন কমিশন ৭২ ঘণ্টা কোচবিহার জেলার ভৌগলিক সীমানায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার।