আগুনের প্রতীকী ছবি(Photo Credits: IANS)

কলকাতা, ৭ সেপ্টেম্বর: করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই শহরে বড়সড় অগ্নিকাণ্ড (Kolkata Fire)। সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আগুন লাগল নারকেলডাঙার ক্যানাল ইস্টরোড লাগোয়া ছাগলপট্টি বস্তিতে। ভস্মীভূত হয়ে যায় প্রায় ১০০টি ঝুপড়ি। একাধিক জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। ঝলসে গিয়েছে ট্রান্সফর্মারও। প্রথমে একটি ট্রান্সফর্মার ফেটে যায়। এরপরই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পর পর অনেকগুলি ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। লকডাউনের জন্য অনেকেই চাল মজুত করে রেখেছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা। সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মেয়ের বিয়ের জন্য তিল তিল করে জমানো টাকায় জিনিস-পত্র কিনেছিলেন এখানকার বাসিন্দা। আগুনের গ্রাসে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মহিলা জানিয়েছেন, “মেয়ের বিয়ের টাকা-জিনিস সব ছাই হয়ে গেল।”

ঘটনাস্থলে পৌঁছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দমকলের দশটি ইঞ্জিন। প্রায় ২ঘণ্টারচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এদিকে সব হারিয়ে হাহাকার পড়েছে বস্তির বাসিন্দাদের মধ্যে। বহু কষ্টে গড়ে তোলা একফালি মাথার ছাদটুকু চোখের সামনে পুড়ে যেতে দেখে ভেঙে পড়েছেন অনেকেই। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। দমকলমন্ত্রীর কাছে ক্ষতিগ্রস্তরা হাতজোড় করে আবেদন জানান পাশে থাকার। সুজিত বসু জানিয়েছেন, জিনিসপত্র আগুনের গ্রাসে সব চলে গেলও কোনও হতাহতের খবর নেই। তবে আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত হবে বলে খবর। আরও পড়ুন-IPL 2020: আইপিএলে করোনার কাঁটা, সংক্রমণের শিকার দিল্লি ক্যাপিটালসের সহকারী পিজিওথেরাপিস্ট

এর আগে গত জুন মাসে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল কলকাতা লাগোয়া চিনার পার্কের আটঘরা বস্তি। স্থানীয়দের দাবি, রান্নার উনুন থেকে এদিন আগুন লাগে। এর পর বাঁশ ও প্লাস্টিকের মতো দাহ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি বস্তিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কয়েক মিনিটে। কিছু বোঝার আগেই দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা বস্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। পরে আরও কয়েকটি ইঞ্জিন পৌঁছায় সেখানে। তবে সেবারও আগুনের লেলিহান শিখা থেকে কিছুই বাঁচানো যায়নি।