নতুন দিল্লি, ৪ এপ্রিল: নন্দীগ্রামের বয়ালে ভোটকেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঘণ্টা দুয়েক বসে থাকা নিয়ে নির্বাচনী নিয়ম ভঙ্গ বলে তরজা শুরু হয়। এই বিষয়ে পরিসন্ধান চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। তবে বুথে ভোটগ্রহণ ব্যাহত করার অভিযোগ খারিজ করারই ইঙ্গিত দিয়েছে কমিশন। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে দাঁড়িয়ে তাঁর হাতে লেখা অভিযোগটি সত্যিই বেআইনি বলে জানিয়েছে কমিশন। ভোটকেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপ পশ্চিমবঙ্গ অথবা অন্য কোনও রাজ্যে বিপরীত প্রভাব ফেলতে পারে বলে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে কমিশন।
১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের দিন সকাল থেকে একের পর এক অভিযোগ পেয়ে বেলার দিকে বয়ালের সাত নম্বর বুথে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি পৌঁছানোর সঙ্গেই হুইল চেয়ার ঘিরে নিজেদের ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। বিজেপির বিরুদ্ধে অবাধে ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বুথের কাছে যেতে পারেননি, কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য এমন অভিযোগও উঠেছে। বিজেপি সমর্থকরা ততক্ষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে 'জয় শ্রীরাম' স্লোগান দিতে শুরু করে।
একদিকে তৃণমূল আর একদিকে বিজেপির মারমুখী হয়ে ওঠে কর্মীরা। মাঝখানে পুলিশ, ব়্যাফ, কেন্দ্রীয় বাহিনী। জেলার দুঁদে পুলিশকর্তারা। ততক্ষণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে। গন্ডগোলের কারণে বুথকেন্দ্রে আটকে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে দু'ঘণ্টা আটকে থাকার পর তাঁকে বের করা সম্ভব হয়। বুথকেন্দ্রে আটকে থাকা অবস্থায় রাজ্যপালকে ফোন এবং নির্বাচন কমিশনে বহিরাগতদের তাণ্ডবের অভিযোগ এনে চিঠি দেন।