কলকাতা, ২৭ নভেম্বর: “ফ্রিডম অ্যাট মিড নাইট শুনেছি৷ গভর্নমেন্ট অ্যাট মিড নাইট শুনিনি৷ মহারাষ্ট্র আজ পথ দেখিয়েছে৷ ভয় দেখিয়ে কিছু হবে না।” মহারাষ্ট্রে বিজেপির বিপর্যয় দেখেও স্পিকটি নট ছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তবে মঙ্গলবার দেবেন্দ্র ফডনবিশ (Devendra Fadnavis) যেই না সংখ্যাগরিষ্ঠতার অভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৌনতা ভেঙে মুখ খুললেন তৃণমূলনেত্রী। বলেই ফেললেন, রাজ্যপালের ভূমিকা সঠিক ছিল না। মূলত ধনখড় প্রসঙ্গে তাঁর ঊষ্মা এই কটাক্ষে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে যখন একঘরে অবস্থা বিজেপির, তখনও মন্তব্য করেননি মমতা। তারপর আচমকা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ফডনবিশ। তখনও মুখ বন্ধ রেখেছিলেন তিনি।
তবে মহারাষ্ট্রের মাটিতে মোদি শাহর দর্প চূর্ণ হতেই আর চুপ থাকতে পারলেন না। রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাতারাতি স্বাধীনতা আলতেই পারে, কিন্তু রাতারাতি সরকার গঠন? সত্যিই শুক্রবার মধ্যরাতে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নিয়ে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতার রাশ নিজের হাতে নিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ, তা দীর্ঘদিন আলোচনায় থাকবে। কিন্তু ততক্ষণে চাণক্যের ভূমিকায় নেমে পড়েছেন এনসিপি প্রধান ৭৯ বছরের প্রবীণ রাজনীতিক শরদ পাওয়ার। তাঁর কাছে অমিত শাহের রাজনীতিক বিচরণ নস্যি ভিন্ন কিছু নয়। বাস্তবেও তাই হল, ১৬২ জন বিধায়ককে একত্রিত করে মুম্বইয়ে গ্র্যান্ড হায়াতে গিয়ে হুংকার ছাড়লেন তিনি। সত্যের পক্ষে থাকার বার্তা দিলেন উদ্ধব ঠাকরে। বাকি বিধায়কদের দলে ফেরাবেন আত্মবিশ্বাসী শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। কাকার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ভাইপো জানে, তাই আর দ্বিরুক্তি না করে সুপ্রিম রায় জানার পরেই মানে মানে ইস্তফা দিলেন। আরও পড়ুন-Sanjay Raut: মহারাষ্ট্র জয়ের পর এবার বিজেপিকে উৎখাত করতে দিল্লি যাবে শিবসেনা, সঞ্জয় রাউত
মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে একমাত্র শিরাত্রি সলতের ভূমিকা পালন করেছিলেন অজিত। তিনি সরতেই চোখে অন্ধকার দেখেন ফডনবিশ। ভেবেছিলেন দুএকদিন হাতে পেলে অজিত আরও এনসিপি বিধায়ক ভাঙিয়ে আনবেন। সেইসঙ্গে শিবসেনা ও কংগ্রেস বিধায়কদের বেশ কয়েকজনকে আনা যাবে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফ্লোর টেস্টের নির্দেশিকা দিয়ে আগেই কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। ভবিতব্যকে কেই বা আর অস্বীকার করতে পারে, তাই না।