কলকাতা, ২৭ এপ্রিল: আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক হয় রাজ্যের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের। জল্পনা ছিল কবে উঠবে লকডাউন। কিংবা আর কতদিন বাড়ানো হবে লকডাউন। এদিকে রাজ্যগুলির অচলাবস্থা। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না করলে মানুষ এবার না খেয়ে মরবে। আবার লকডাউন তুললে করোনা ছড়াবে হু হু করে। এই নিয়ে চিন্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee)। ভিডিও কনফারেন্সের পর কেন্দ্রের সিদ্ধান্ততে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। ২১ মে পর্যন্ত লকডাউনে (Lockdown) কড়াকড়ি থাকবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি।
আজ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, 'কেন্দ্র যেমন নির্দেশ দিচ্ছে দিক। বাংলাতে ২১ মে পর্যন্ত এখনকার পরিস্থিতি রাখার চেষ্টা করব আমরা। কিন্তু সাধারণ মানুষের স্বার্থে এবার রেড-অরেঞ্জ ও গ্রিন জোনের তালিকা তৈরি করেছে রাজ্য। রেড জোনে কড়াকড়ি থাকবে। গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে একটু ছাড় দেওয়া হবে।' যদিও রাজ্যের তরফের যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তা লকডাউন নয় বলেই মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'লকডাউন নিয়ে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেন্দ্র নিক। আমরা জোন ভাগ করে দেব। রাজ্যকে তো আমাদেরই চালাতে হবে। জোন চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেবে রাজ্যই। গ্রামের দিকে কীভাবে কাজকর্ম চালু করা যায়, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।' আরও পড়ুন, করোনায় আক্রান্তকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তদারকিতে এদিন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের নেতৃত্বে মন্ত্রীগোষ্ঠী গড়ে দেন তিনি। সেই গোষ্ঠীতে আছেন পার্থ চ্যাটার্জি, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা, স্বাস্থ্য সচিবও।' তিনি বলেন, 'রাজ্য যদি জোন হিসেবে তালিকা প্রকাশ করে, তাহলে মানুষ আরও সতর্ক থাকতে পারবেন। আপাতত ২১ মে পর্যন্ত এরকমই চলবে।' তাঁর অভিযোগ, 'একটা করে সার্কুলার দিয়ে দিচ্ছে, আলোচনা ছাড়াই, স্টেটকে জিজ্ঞেসই করা হচ্ছে না। বলছে লকডাউন কঠোর করতে হবে। অথচ সব দোকান খুলে দেওয়ার কথা বলছে। এবার আমি মানুষকে কীভাবে বলব, দোকানে যাবেন না! দোকানদারদের কীভাবে বলব দোকান খুলবেন না। কোনও স্বচ্ছতা নেই। রাজ্যের সঙ্গে কিছুই আলোচনা করা হচ্ছে না।'
তিনি আরও ঘোষণা করেন, 'টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে বাড়িতে বসেই চিকিৎসা করাতে পারেন। লকডাউন বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন বাড়ুক না বাড়ুক, আমরা ২১ মে পর্যন্ত খুব সাবধানে চলব। বাড়িতে থাকুন। হোম কোয়ারানটিন থাকুন, সেটাই সবচেয়ে নিরাপদ।'