Lok Sabha Elections 2019: ‘৩২৪-র জবাব দেবে বাংলার মানুষ, কমিশনের পর্দা ফাঁস করে দেব’, প্রচার বন্ধের নির্দেশে ক্ষুব্ধ মমতা মুকুলকে ‘গদ্দার’ বললেন

কলকাতা ১৬ মে:  রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে, এই দোহাই দিয়ে নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই শেষ দফার ভোট প্রচার বন্ধ করে দিল নির্বাচন কমিশন(EC)। আজ বৃহস্পতিবার রাত দশটা পর্যন্তই প্রচার সারতে পারবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি।  যদিও স্বাভাবিক নিয়ম অনুসরণ করলে আগামী শুক্রবার এখানে প্রচার শেষ হওয়ার কথা ছিল। যাইহোক দেশে এই প্রথম কোনও রাজ্যে ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। দিল্লি থেকে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন(Sudip Jain) সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানিয়েছেন। এরপরেই কালীঘাটের বাড়ি থেকে মমতা(Mamata Banerjee) বলেন, বিজেপি কেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন

এদিকে কমিশনের সিদ্ধান্তের পরই সাংবাদিক সম্মেলনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, 'আমি ছেড়ে দেব না। সাহসের সঙ্গে লড়াই করব। মিস্টার ইলেকশন কমিশন, দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি তুমি পক্ষপাত দুষ্ট। আমি মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কথা বলছি না। উনি গুডি গুডি ম্যান। কিন্তু ওনার সঙ্গে যে দু’জন রয়েছেন, তাঁরা গুডি গুডি নন, ব্যাড। আমি চাইলে সবার পর্দা ফাঁস করে দিতে পারি। তোমার কাছে ক্ষমতা রয়েছে তুমি ৩২৪ ধারা জারি করেছ (সংবিধানের ৩২৪ ধারা)(Article-324)। মানুষ তোমাকে জবাব দেবে। ১৯ তারিখ ভোটের দিন বাংলার মানুষ রায় দিয়ে ৩৫৬ ধারা(Article- 356) প্রয়োগ করে দেবে তোমার বিরুদ্ধে। আর বিজেপি-র জন্য ১৪৪ (Article- 144)ধারা প্রয়োগ করে দেবে মানুষ।'

বুধবার একই সঙ্গে রাজ্যের রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে(Atri Bhattacharya) সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। তাঁর কাজকর্ম দেখবেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে। অন্য দিকে, বর্তমানে এডিজি সিআইডি পদে থাকা কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকেও অপসারিত করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। শুধু অপসারণই নয়, কলকাতার ভোটের সময়ে রাজ্যেই থাকতে পারবেন না রাজীব। শুক্রবার সকাল দশটার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট করতে হবে রাজীব কুমারকে(Rajib Kumar)।

অন্যদিকে রাজীব কুমার, অত্রি ভট্টাচার্যকে কমিশন দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরে সাংবাদিক সম্মেলেন সব কিছুর জন্যই মুকুল রায়কে(Mukul Roy)ই দায়ী করলেন মমতা।তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার পরে এই প্রথম প্রাক্তন সেনাপতি মুকুল রায়ের নাম মুখে আনলেন তিনি। এমনকি এই প্রথম মুকুল পুত্র শুভ্রাংশুর পরিচয় দিলেন– ‘গদ্দারের ছেলে’।