'Jai Shri Ram'এর পাল্টা ‘‌জয় হিন্দ’‌, নিজের ফেসবুক–টুইটারের ডিপি বদল মুখ্যমন্ত্রীর, মমতার ছুটিতে যাওয়া প্রয়োজন কটাক্ষ বাবুলের
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়( PTI)

কলকাতা,৩ জুন,২০১৯:‌ ভোটের আগে থেকে ‘‌জয় শ্রীরাম’‌ স্লোগান ঘিরে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। ঝাড়গ্রামের সভা করতে যাওয়ার পথে মমতাকে দেখে জয় শ্রীরাম স্লোগান দেন কয়েকজন যুবক। তাতে বেজায় চোটে গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে চিৎকার জুড়েছিলেন তিনি। তারপর ভোট মিটতেই অর্জুনের গড় ভাটপাড়াতেও একই কান্ড। সেখানেও রেগে গিয়ে পুলিসকে রীতিমত হুমকি দেন মমতা ( Mamata Banerjee )। জয় শ্রীরাম ( jai Shri Ram )বলার অপরাধে ভাটপাড়ায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিস।

এই নিয়ে যখন বিরোধীরা সরব হয়েছে। ঠিক তখনই খোলা চিঠিতে এর কারণ ব্যাখ্যা করলেন মমতা। খোলা চিঠিতে বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে এ বার রাজনৈতিক ভাবে প্রতিরোধের ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের ‘শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন’ মানুষের কাছে তাঁর আহ্বান, যারা ঘৃণা ছড়িয়ে, মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং সংবিধান ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, তাদের যথাযথ উত্তর দিতে হবে। রবিবার বিকেলে ফেসবুকে একটি লম্বা পোস্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগরের বাংলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলা চিরকালই ঐক্য এবং উন্নত চিন্তার কথা বলেছে। কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল বাংলায় নেতিবাচক রাজনীতির জন্ম দিচ্ছে।’আরও পড়ুন- মাত্র ক'দিনে নাটকীয় ভাবে বদলে গেল রাজ্য রাজনীতি, দিদিকে ব্যাকফুটে ঠেলে পদ্মের দাপাদাপি

মমতার বক্তব্য, প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই নিজস্ব স্লোগান থাকে। তা নিয়ে তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তাঁরা যেমন ‘বন্দে মাতরম’, ‘জয় হিন্দ’ ( Jai Hind )বলেন, তেমনই বামপন্থীরা ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বলেন। এই সমস্ত স্লোগানকেই বাংলা সম্মান করে। মমতার অভিযোগ জয় শ্রীরাম শব্দটিকে রাজনৈতিক ভাবে ব্যাবহার করছে বিজেপি। এবং সংকীর্ণ ধর্মীয় রাজনীতির ভাবাবেগ মানুষের মধ্যে তৈরি করছেন। প্রতিবাদে তাই নিজের ফেসবুক এবং টুইটারের ডিপি বদলে ‘‌জয় হিন্দ’‌  এবং 'জয় বাংলা'শব্দটি লিখেছেন মমতা।

যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই আচরণ নিতান্তই শিশুসুলভ বলে কটাক্ষ করেছেন সদ্য মন্ত্রিত্ব পাওয়া আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়( Babul Supriya )। তিনি অভিযোগ করেছেন, জয় শ্রীরাম স্লোগান উঠলেই মমতা যে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন তাতে বোঝাই যাচ্ছে বিজেপির উত্থানে তিনি ভীত এবং সন্ত্রস্ত। মুখ্যমন্ত্রীকে বেশ কিছুদিন ছুটিকে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।