রাজীব বন্দোপাধ্যায়

কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি: আজ বিধায়ক (MLA) পদ থেকে ইস্তফা নেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। ছাড়তে পারেন তৃণমূল দলও (TMC)। বুকে মমতা ব্যানার্জির ছবি জড়িয়ে নিয়ে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের তিনি জানান-"মমতা আমার মায়ের মতো, ওঁনার ছবি আমার মাথার পিছেনই থাকবে"। তিনি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জিকে ধন্যবাদ জানান। তবে এইমুহূর্তে দল ছাড়ছেন কিনা তা তিনি জানাননি। গত সপ্তাহেই তিনি মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেন।

আজ ফেসবুকে রাজীব বন্দোপাধ্যায় নিজের প্রতিক্রিয়া লিখে জানিয়েছেন, "আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতার সাথে আমি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করছি। পশ্চিমবঙ্গের জনগণের জন্য সেবা করা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, আমার মেয়াদে প্রায় ১০ বছরের সময়কালে আমি যা অর্জন করেছি তাতে আমি সন্তুষ্ট। আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন তা আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করি। আমি ডোমজুড় নির্বাচনী এলাকার লোকজনকেও ধন্যবাদ জানাই এবং আমি আপনাদের সবার পাশে থাকার এবং ভবিষ্যতে আপনার ও বাংলার উন্নতির জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সবাইকে এবং আমার প্রিয় বিধায়ক সদস্যদের ভবিষ্যতে মঙ্গোল কামনা করছি।" আরও পড়ুন, বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

"মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর ৭ দিন সময় নিয়েছিলাম। নির্দল হয়ে মানুষের জন্য কাজ করা যায় না, সংসদীয় গণতন্ত্রে কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থাকা উচিত। এবার আমি মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছি। যা জানার কাল জানাব," কোন দলে তিনি যাচ্ছেন তা আপাতত না জানালেও ডোমজুড় থেকেই তিনি নির্বাচনে লড়তে চান বলে সংবাদমাধ্যমে জানান।

গত ২২ জানুয়ারি রাজ্যের বনমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এর আগে শুভেন্দু অধিকারী, লক্ষীরতন শুক্লা রাজ্যের মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন। অন্যদিকে সূত্রের খবর আজই তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদও পদ ছাড়তে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনিও অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা।

৩১ জানুয়ারি অমিত শাহর সভাতেই বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া ও উত্তরপাড়ার বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। সূত্রের খবর এমনটাই। জানা যাচ্ছে, বিজেপি নেতাদের কাছে যোগদানের যে তালিকা রয়েছে তাতে নাম রয়েছে এই দুই তৃণমূল বিধায়কের। বুধবার আরামবাগের সভা থেকে বৈশালী ও প্রবীরের বিজেপিতে যোগদানের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।