কলকাতা, ১৭ নভেম্বর: দিদিকে বলো (Didi ke Bolo) কর্মসূচি সফল করতে পারলেই মিলবে বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট! গতকাল শনিবার দলের সমস্ত কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে এমনটাই বার্তা দেওয়া হয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তরফে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে পারলেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে। এদিন এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে মেয়র ফিরহাদ হাকিম তাঁর দলের কাউন্সিলরদের নির্দেশ দেন চলতি মাসের মধ্যে কমপক্ষে চারবার এই প্রচার অভিযান অনুষ্ঠিত করবার। স্পষ্ট ভাষায় তিনি জানিয়ে দেন, আমরা যদি এই কর্মসূচি সফল করতে পারি তাহলে সহজেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমরা নির্বাচনের টিকিট পাব। নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হব।
এনডিটিভির খবর অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও যাতে এমনটা না ঘটে তার জন্যই নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) পরামর্শে ‘দিদিকে বলো' কর্মসূচির ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee)। প্রথমদিকে ভালো সাড়া মিললেও অনেকাংশেই কটাক্ষ, বাস্তবে নাকি সেভাবে সফল হয়নি প্রশান্তের এই ড্যামেজ কনট্রোলের দাওয়াই। এরপরেই শাসকদলের তরফে ঘোষণা করা হয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে শহর-রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে এই প্রচারাভিযান। তবেই আসবে সাফল্য। আরও পড়ুন: Didi Ke Bolo: 'দিদিকে বলো'-তে দশ লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণ, অভিযোগ ফোন ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার-দারুণ খুশি মমতা ব্যানার্জি জানালেন ধন্যবাদ
আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে রাজ্য জুড়ে ১০৭ টি নির্বাচনী কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে বিধানসভা নির্বাচন। চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনে ২২-১৮ ফলাফলে বামফ্রন্ট (Left Front) ও কংগ্রেসকে (Congress) যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ দলে পরিণত করে রাজ্যে শাকদলের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলেছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। ফলে, সামনের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের উপরই নির্ভর করছে শাসকদলের ভবিষ্যত।