
কলকাতা, ২৩ জুন, ২০১৯: ফেসবুক লাইভে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র(Madan Mitra)। তিনি অভিযোগ করেছেন, সারদাকাণ্ডে তাঁকে ২২ মাস গ্রেফতার করে রেখেছিল সিবিআই(CBI)। রাজ্য় পুলিশের কাছ থেকে তাঁকে নিয়ে কোনও ভালো রিপোর্ট যায়নি সেই সময়। সেসময়ও বাংলার পুলিসমন্ত্রী ছিলেন মমতা ব্যানার্জি(Mamata Banerjee)। এই নিযে এক প্রকার ক্ষোভ উগরে দিয়েই তিনি বলেন, 'এরকম নয় যে তৃণমূল সরকার রয়েছে বলে কোনও ভালো রিপোর্ট গেছে , আর আমায় ছেড়ে দিয়েছ। আসল সত্য হচ্ছে সিবিআই ২২ মাস বাদে আদালতকে জানিয়েছিল, মদন মিত্র প্রভাবশালী। ওনাকে ছাড়লে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।
মদন মিত্র এদিন সুপ্ত ক্ষোভের সুর চড়িয়ে বলেন, ' আমি জানতাম যে প্যারোল আমায় নির্বাচন কমিশন দেয়নি। আমি জাহিদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমায় বললেন, প্যারোল দেওয়াটা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। প্যারোল দেওয়াটা রাজ্য সরকারের কাজ।' এপ্রসঙ্গে তিনি ২০১৬ সালের নির্বাচনের কথা বলেন। তিনি জানান, সেই সময়ে ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি ৪৩ বার প্যারোলের আর্জি জানান। মদন মিত্রের অনুযোগ কামারহাটি থেকে ১৮০০ ভোটে তিনি হারতেন না যদি তাঁকে ভোট দিতে দেওয়া হত এলাকায়। এক্ষেত্রে 'অনেকের দয়া' আর 'অনেকের জনপ্রিয়তা না বিক্রি' করেই তিনি জিতে জেতেন বলে দাবি করেন মদন মিত্র। আরও পড়ুন, ভারতের ধর্মীয় সহিষ্ণুতা বিপন্ন! আমেরিকার রিপোর্টের জবাবে কড়া বার্তা দিল ভারত
এরপর একধাপ এগিয়ে মদন মিত্র দাবি করেন, আমি জানি না কারা কারা বাদ আছেন।তবে সিবিআই সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, ফিরহাদ হাকিম, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার, সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।' আর তাঁকে বেছে বেছে বলির পাঁঠা করা হয়েছে।