কলকাতা, ২ ডিসেম্বর: প্যাক-আপ। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দলে উপস্থিতি নিয়ে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি। ঠিক তখনই শাসক দলের নেতাদের দলবদলের পালায় আরও একটু উষ্ণতার পারদ উস্কে দিয়েছিলেন মদন মিত্র (Madan Mitra)। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট প্যাক-আপ ঘিরে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। তবে এবার সেই জল্পনায় জল ঢালল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী-সহ সরকারি সমস্ত প্রকল্প দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হল মদন মিত্রকে। অর্থাৎ সরকারি প্রকল্পের জন্য তৈরি হয়েছে একটি কমিটি। সরকারের সমস্ত প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা পরিবহণ দফতরের কর্মীরা পাচ্ছেন কিনা, সেই বিষয়টি দেখার জন্যই এই কমিটি। এই সরকারি কমিটির চেয়ারম্যান পদে এবার নিযুক্ত হলেন মদন মিত্র।

নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কমিটির কথা ঘোষণা করা হয়। কমিটির চেয়ারম্যান পদে মদন মিত্র ছাড়াও এতে রয়েছেন ট্রান্সপোর্ট ডিরেক্টরেট ডেপুটি ডিরেক্টর, এসটিএ-র ডেপুটি সেক্রেটারি এবং পরিবহণ কমিটিগুলির সদস্যরা রয়েছেন এই কমিটিতে। সম্পতি চায়ের হাত কাপে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নিজের ছবি পোস্ট করেন মদন মিত্র। সেই ছবির ক্যাপশনেই লেখা ছিল, 'টাইম ফর প্যাক আপ।'

দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করে রীতিমত শাসক দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন মদন মিত্র। ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোরের উপরও। 'কামারহাটির মানুষ কী চায়? পিকে শেখাবে আমাকে?', এই মন্তব্য করেই সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। মমতা ব্যানার্জির ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জিকেও একহাত নিয়েছিলেন মদন মিত্র। বলেছিলেন, 'আমার বাড়িতে ক্যাপশুল লিফ্ট নেই! কথায় কথায় চপারে আমি যাতায়াত করিনা।' এই সমস্ত তর্ক-বিতর্কে রাজ্যের সাধারণ মানুষের মনে মদন মিত্রর দল ছাড়ার সম্ভাবনা যখন ক্রমশ জোরাল হচ্ছে ঠিক তখনই তাঁকে দেওয়া হল দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব।