সিপিএমের পতাকা( credit-IANS)

২৩মে, ২০১৯: হিসেব ছিল পাঁচটা। কিন্তু ইভিএম (EVM)খুলতে দেখা গেল সবটাই ফাঁকা। রাজ্যের একটি আসনেও খাতা খুলতে পারল না বামেরা। মহম্মদ সেলিম থেকে দেবলীনা হেমব্রম, ব্রিগেডের মাঠে যাঁরা আশা জাগিয়েছিলেন তাঁরাও ডুবিয়ে দিলেন। পোস্টাল ব্যালট থেকে ইভিএম কোথাও জায়গা করে উঠতে পারলেন না রাজ্যের ৪২টি আসনের বাম প্রার্থীরা।

গোটা দেশের রাজনৈতিক মানচিত্র থেকে প্রায় সাফ হয়ে গিয়েছে বামেরা। সমীক্ষার ইঙ্গিত সত্য প্রমাণিত করে হাতে থাকা দু’টি আসনই হারিয়েছে সিপিএম(CPM)। ২০১৮ সালের ত্রিপুরায় ক্ষমতা হারানোর পরে সেখানে লড়াই যথেষ্ট কঠিন হয়ে গিয়েছিল। সেই ধারা বজায় রেখেই উত্তর–পূর্বের ওই রাজ্যে জোড়া আসনই সিপিএমের হাতছাড়া হয়েছে।

এক চিলতে আশা ছিল কেরল। কেরলে মোদি(Modi)–বিরোধী হাওয়াও কাজে লাগাতে পারেনি বামেরা। গতবারের জেতা আটটি আসনের জায়গায় এবার সেখানে শাসক বাম এগিয়ে মাত্র একটি আসনে। তা হল আলপ্পুঝা। তিন রাজ্যের বাইরে সকলের নজর ছিল বিহারের বেগুসরাই। মোদf–বিরোধিতার মুখ হয়ে সিপিআই প্রার্থী ছিলেন কানহাইয়া কুমার। বৃহস্পতিবার ভোটযন্ত্র খোলার পরে দেখা গেল, বেগুসরাই তরুণ সিপিআই নেতার প্রতি রায় দেয়নি জনগণ। ভোট কাটাকাটির খেলায় হার হয়েছে কানহাইয়ার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলা এবং কেরল, সংখ্যালঘু মানুষের সমর্থনও তাঁদের দিকে আসেনি। দিল্লিতে মোদীকে ঠেকানোর আকাঙ্খা থেকে কেরলে ক্ষমতাসীন বামের পক্ষে না গিয়ে প্রায় ৪৪ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোটই কংগ্রেসের বাক্সে পড়েছে। তার মধ্যে সিপিএমের ভোট বা সামগ্রিক বামেদের ভোট বিজেপি’‌র বাক্সেও স্থান পেয়েছে। না হলে এই শোচনীয় হাল হয় না। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসেব বলছে, বিজেপি’‌র ভোট এবার বেড়ে হয়েছে ৩৮.৫ শতাংশ। আর বামেদের ভোট নেমে এসেছে প্রায় ৬ শতাংশে। তিন বছর আগের লোকসভা ভোটে বামফ্রন্ট পেয়েছিল প্রায় ২৬ শতাংশ ভোট। বিজেপির ভোট তখন ছিল ১০.১৬ শতাংশ।

এই পরিস্থিতিতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‌এটা দেশের নিরিখে বামেদের শোচনীয় পরাজয়। স্বাধীনতার পর এমন পরাজয় ঘটেনি। তবে এই পরাজয়ের গভীর পর্যালোচনা প্রয়োজন।’‌ ‌‌