জাতীয় স্তরে ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Alliance) সঙ্গেই রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্য স্তরে কংগ্রেস কিংবা সিপিএম কারুর সঙ্গেই জোট করতে নারাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আবারও সেই কথা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ছিল ইন্ডিয়া জোটের মহা জনসমাবেশ। সেখানে তৃণমূল তাঁর দুই প্রতিনিধিকে পাঠিয়েছে। রাজ্যসভায় দলের দুই সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien) এবং সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose) বক্তব্যও রেখেছেন মোদী বিরোধী সুর তুলে। অন্যদিকে এদিন কৃষ্ণনগর থেকে ভোটের প্রচার শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) সঙ্গে নিয়ে ধুবুলিয়ার সুকান্ত স্পোর্টিং ক্লাবের মাঠে আয়োজিত সভা থেকে মমতার হুঙ্কার, ভোটে মহুয়া জিতলে বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে। ওদের মুখোশ টেনে ছিঁড়ে ফেলবে।
আরও পড়ুনঃ ‘তাঁরা যত আমার পিছনে পড়ছে আমার ভোট তত বাড়ছে’, কৃষ্ণনগর নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মহুয়া
গত বছর মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীরা এক ছাতার তলায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়। চলে একের পর এক বৈঠক। কংগ্রেসের সনিয়া গান্ধীর পাশে বসে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধী জোটের 'ইন্ডিয়া' নামটিও দিয়েছেন দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীই। সেই প্রসঙ্গ টেনে রবিবার তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বললেন, আমারা জাতীয় স্তরে জোটের সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু বাংলায় কংগ্রেস এবং সিপিএম বিজেপির চর হয়ে উঠেছে'। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের সময় থেকে কংগ্রেস এবং সিপিএম বিজেপি বিরুদ্ধে না লড়ে তৃণমূলের বিরোধিতা করা শুরু করেছে, যা ভাজপা সরকারকে সুবিধা করে দিয়েছে বলে অভিযোগ কুণালের।
তাই বাংলায় জোটের সঙ্গে আসন রফাতেও যেতে চায়নি মমতার দল। রাজ্যের ৪২টি আসনে বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে একাই লড়বে তৃণমূল (TMC)। তবে কুণাল জানান, ভোটের পর দিল্লিতে বিরোধীদের নতুন সরকার ক্ষমতায় এলে সেই সরকারের সমর্থনে এবং গঠনে তৃণমূলের যা কিছু করণীয় সমস্তটা করা হবে।