অপারেশন সিঁদুরের সমর্থন করতে গিয়ে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বিতর্কিত মন্তব্য করে গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা পানোলি (Sharmistha Panoli Case)। শুক্রবার গুরুগ্রামে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। শনিবার তাঁকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। যদিও এই গ্রেফতারি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। অভিযোগ উঠছে, কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই নাকি শর্মিষ্ঠাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে এই নিয়ে কলকাতা পুলিশের তরফ কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এদিকে এই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
শর্মিষ্ঠা পানোলিকে নিয়ে মন্তব্য কুণাল ঘোষের
কুণাল এদিন বলেন, "আমাদের রাজনৈতিক অবস্থান আগে থেকে সকলের কাছে স্পষ্ট রয়েছে। আমরা কখনই ধর্মীয় বিভাজন বা মেরুকরণের রাজনীতির পক্ষে নই। আমরা কখনই এসব সমর্থন করি না। বরং এই ধরনের ঘটনায় যদি কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে আমরা অবশ্যই নেব। আমরা কখনই ধর্মীয় ভেদাভেদকে সমর্থন করি না। এবং এই ধরনের যদি কেউ ঘটনা ঘটায়, তাঁদেরকেও সমর্থন করি না"।
দেখুন কুণাল ঘোষের বক্তব্য
Kolkata, West Bengal: On the arrest of law student Sharmistha Panoli for allegedly hurting religious sentiments through social media posts on Operation Sindoor, TMC leader Kunal Ghosh says, "Our stand is clear that we are not for any division or discrimination on the basis of… pic.twitter.com/RcAHQaAh7L
— IANS (@ians_india) May 31, 2025
কুরুচিকর মন্তব্যের কারণে গ্রেফতার শর্মিষ্ঠা পানোলি
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি ধর্মের মানুষদের ভাবাবেগে আঘাত দিয়ে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন আইনের ছাত্রী তথা ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার শর্মিষ্ঠা পানোলি। ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই কলকাতা পুলিশের কাছে শর্মিষ্ঠার বিরুদ্ধে দায়ের হয় এফআইআর। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে শর্মিষ্ঠাকে জেরা করার জন্য একাধিকবার তলব করা হলেও সে কোনও উত্তর দেয় না। উল্টে পরিবার নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিলেন শর্মিষ্ঠা। অবশেষে শুক্রবার গ্রেফতার করে আলিপুর আদালতে পেশ করে কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্তকে ১৩ জুন পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।