প্রতীকী ছবি (Photo Credits: PTI)

বিড়ালকে ভালোবাসতেন সন্তানের মতো। বিড়ালদের যত্ন করতেই কাটত সময়। ছোট্ট সংসারে খেলার সঙ্গী, মনখারাপে এক টুকরো খুশি ছিল পোষ্যরা। সেই পোষ্যকে বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হল এক যুবতীর। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার লেক অ্যাভিনিউর এক আবাসনে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া এলাকায়।

সোমবার সকাল থেকেই অঞ্জনা তাঁর বিড়ালটিকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাও করছিলেন। অনেকবার ডেকে পোষ্যের সাড়া না পেয়ে দুশ্চিন্তা করছিলেন তিনি। হঠাৎই বিড়ালটিকে আবাসনের কার্নিসে বসে থাকতে দেখেন তিনি। ডাকাডাকি করার পরও বিড়ালটি ফিরে না আসায় শেষে নিজেই তাকে উদ্ধার করতে যান।ছাদে উঠে পাঁচিল থেকে ঝুঁকে প্রথমে বিড়ালটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন, তাতেও না হওয়ায় শেষ কার্নিশে নেমে নিজেই তাকে আনতে যান অঞ্জনা। কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়া কার্নিশে নামতে গিয়েই ব্যালান্স হারান। টাল সামলাতে না পেরে আটতলা থেকে পা ফসকে নীচে পড়ে যান তিনি। ঘটনায় প্রায় সঙ্গেসঙ্গেই মৃত্যু হয় তাঁর।রক্তাক্ত অঞ্জনাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিবেশীরাই। বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

টালিগঞ্জের লেক অ্যাভিনিউ এলাকার আবাসনের ঘটনায় তদন্তে আসে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই মহিলার নাম অঞ্জনা দাস। বয়স ৩০-এর কোঠায়। তাঁর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, অঞ্জনা তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই আবাসনে। বিড়াল ভালবাসতেন। কয়েকটি পোষ্যও ছিল তাঁর।পোষ্যদের খুব ভালোবাসতেন অঞ্জনা। তাদের প্রতি খুব যত্নশীল ছিলেন। কিন্তু সেই পোষ্যপ্রেম তাঁর মৃত্যুর কারণ হবে তা মেনে নিতে পারছেন না কেউ।

অভিজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরণের পরিস্থিতিতে দমকলকে খবর দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু প্রশিক্ষণ ও উপযুক্ত যন্ত্রপাতি না থাকলে নিজে ঝুঁকি নিয়ে পোষ্যকে উদ্ধার করতে যাওয়া যে কোনও সময় প্রাণঘাতী হতে পারে।