কলকাতা, ২৩ জুলাই: ফের কলকাতা মেট্রোয় (Kolkata Metro) আটকাল যাত্রীর হাত। মঙ্গলবার কাজের দিনে সকাল আটটা বেজে ৩০ মিনিটে ঘটনাটি ঘটেছে নেতাজি ভবন স্টেশনে। তবে আটকে থাকা হাতের মালিক মেট্রোর ভিতরে থাকায় বিপদ এড়ানো গিয়েছে। ঘটনার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে দরজা খুলে যাওয়ায় কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হাত দিয়ে দরজা আটকানোর চেষ্টা করছিলেন ওই ব্যক্তি। মৃত্যু থেকেও যে কলকাতা শিক্ষা নিল না এই ঘটনা তারই প্রমাণ দেয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্য ছড়ায় নেতাজি ভবন স্টেশনে। আরও পড়ুন- দরজায় আটকে হাত ট্রেনের বাইরে ঝুলল শরীর, কলকাতা মেট্রোয় যাত্রীর মৃত্যু
বিষয়টি নিয়ে কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এমন ঘটনা যে ঘটেছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন এক মেট্রোকর্তা। তিনি জানিয়েছেন, মেট্রোর দরজায় এই ব্যক্তির হাত আটকে গিয়েছিল, না কি তিনি জোর করে হাত দিয়ে দরজা বন্ধ হওয়ার মুখে খোলার চেষ্টা করেছিলেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওই স্টেশনের সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে স্টেশনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরপিএফ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেও ঘটনার মূলে পৌঁছাতে চাইছে মেট্রো। এক্ষেত্রে দোষ আসলে কার তা আগে জানতে হবে।
জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ যখন দমদম গামী মেট্রো নেতাজি ভবন স্টেশন ছেড়ে বেরচ্ছে তখন কর্তব্যরত আরপিএফ-রা দেখেন মেট্রোর একটি দরজার ভিতর থেকে হাত বেরিয়ে আছে বাইরে। সঙ্গে সঙ্গেই মেট্রো থামিয়ে দেওয়া হয়। তখন দুটি কামরা টানেলে ঢুকে গিয়েছে। ফের যাত্রী সতর্কতার বার্তা শুনিয়ে দরজা খুলে বন্ধ করা হয়। এদিনও কি মেট্রোর সেন্সর কাজ না করায় জনৈক যাত্রী হাত দরজায় আটকে গেল? তানিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঠিক এক সপ্তাহ আগে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় পার্কস্ট্রিট মেট্রো স্টেশনে মৃত্যু হয়েছে সজল কাঞ্জিলাল নামের এক প্রৌঢ়ের। তাঁর হাত মেট্রোর ভিতরে আটকে যায়, তিনি বাইরে ঝুলতে থাকেন। যতক্ষণে চালকের বিষয়টি নজরে এসেছে ততক্ষণে টানেলের মধ্যে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে ট্রেন। সঙ্গে সঙ্গে দরজা খুলতে থার্ডলাইনে পড়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। মেট্রোকর্তৃপক্ষের দাবি ততক্ষণে থার্ডলাইনের বিদ্যুতসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। এনিয়ে এখনো চলছে কাজিয়া। ফের একই ঘটনা ঘটতে ঘটতে রক্ষা পেয়েছে।