কলকাতায় বহুতল থেকে ঝাঁপ তরুণীর,  অফিস টাইমে চাঞ্চল্য মিন্টোপার্কে
প্রতীকী ছবি(Photo Credit: PTI)

কলকাতা, ২২ জুলাই: কলকাতায় বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী তরুণী, সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মিন্টোপার্কের ত্রিকূট বিল্ডিংয়ে। ওই বহুতলটিতে অনেকগুলি বেসরকারিসংস্থার অফিস। বহুতলের আটতলাতেই রয়েছে গাড়ি বিমা সংস্থার অফিস। সেখানেি চাকরি করতেন মৃত তরুণী জেসমিন মিত্র  (Jesmin Mitra) । এদিন এগারোটা নাগাদ উপর থেকে ভারী কিছু পতনের শব্দ পেয়েই নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে যান। দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণী পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে ভবানীপুর থানায় খবর দেওয়া হয়, পুলিশ এসে তরুণীকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন। তবে কী কারণে ওই তরুণী আত্মঘাতী হয়েছেন তা এখনও জানা যায়নি। আরও পড়ুন- বর্ধমান রেলস্টেশনের নাম বদল, স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম পাচ্ছে বর্ধমান স্টেশন

পুলিশ জানিয়েছে, জেসমিন বিবাহিতা। শ্বশুরবাড়ি বাঁকুড়ায়, স্বামীর নাম অনিরুদ্ধ মিত্র। ভিন্ন ধর্মে বিয়ে হলেও ওই দম্পতির মধ্যে কোনও সমস্যা ছিল না। দুই তরফের পরিবারই এই বিয়ে মেনে নিয়েছিল। তরুণীর বাপের বাড়ি বেহালার ঠাকুরপুকুরে। মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন শোকস্তব্ধ বাবা-মা। তবে কী কারণে জেসমিন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে কিছুই বলতে পারেননি তাঁরা। পুলিশ জেসমিনের অফিসে গিয়ে দেখতে পায় তাঁর জুতো জোড়া জানলার কাছে খোলা আছে। সেখান থেকেই যে তিনি নিচে ঝাঁপ দিয়েছেন তা স্পষ্ট। তবে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে, সেসব মিটলে পরিবারের হাতেদেহ তুলে দেওয়া হবে।

তরুণীর পরিবার সূত্রের খবর, ২০১৩-তে জেসমিন অনিরুদ্ধর বিয়ে হয়। তাঁরা সাধরণত হ্যাপি কাপল। অনিরুদ্ধও একদন বেসরকারি সংস্থার কর্মী। এদিন সকাল দশটানাগাদ অফিসে আসেন জেসমিন, তাঁর টেবিল থেকেই ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে পারিবারিক কোনও গন্ডগোলের হদিশ পাননি তদন্তকারীরা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জেসমিনের অফিসের সহকর্মীদেরও। ওই তরুণী যদি আত্মহত্যা করে থাকেন, তবে কী কারণে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় তরুণীর পরিবারে নেমেছে শোকের ছায়া।