কলকাতা, ১০ নভেম্বর: করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) নিয়ন্ত্রণে দুর্গাপুজোয় কড়া নিয়মকানুন জারি হলে জগদ্ধাত্রী পুজোতে কেন নয়! যেখানে ইতিমধ্যেও কালীপুজো (Kali Puja 2020), জগদ্ধাত্রী (Jagadhatri Puja 2020) এবং কার্তিক পুজোতেও (Kartik Puja 2020) দূর্গাপুজোর মতই মণ্ডপ নো-এন্ট্রি জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে আগামিকাল, বুধবার থেকে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন (Local Train Service) পরিষেবা। সেক্ষেত্রে আগাম পুজোর মরশুমে বাড়তে পারে সংক্রমণের মাত্রা। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata Highcourt) একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ সংক্রমণ রুখতে কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং কার্তিক পুজোয় বিশেষ কিছু স্টেশনে ট্রেন না চালানোর নির্দেশ দেয়। পড়ুন: Ranu Mondal Will Sing For Hindi Movie: ফের লাইমলাইটে! এবার ধীরজ মিশ্রর সিনেমায় গান গাইবেন রাণু মণ্ডল
সাড়ে সাত মাস কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের পর অবশেষে লোকাল ট্রেন চালু করার ক্ষেত্রে সম্মতি দেয় কেন্দ্র। কিন্তু তার আগেই আগাম উৎসবের কথা মাথায় রেখে ট্রেন চালানোর উপর বেশ কিছু শর্ত চাপিয়ে দিল আদালত। ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রাখা নিয়ে জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, কালীপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতে জেলায় জেলায় বেশ কয়েকটি জায়গায় ব্যপক জনসমাগম হয়। এছাড়া সেসব মিটলে আসছে কার্তিক পুজো। সেক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও বাড়বে এই পুজো পার্বণে। তাই এই সমস্ত পুজো ঘিরে যেখানে জনসমাগম বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল আদালত। বিচারপতি সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, 'জগদ্ধাত্রী হোক কিংবা কালীপুজো। যেখানে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসমস্ত এলাকায় লোকাল ট্রেন না চালানোই ভাল। নির্দিষ্ট স্টেশনের আগে এবং পরে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হোক লোকাল ট্রেন।' তবে কালীপুজোর দিন পুরো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোর দিন চন্দননগর যাওয়ার দিকের ট্রেনগুলি বন্ধ রাখলেই ভাল।
পাশাপাশি ছটপুজো নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, "দুর্গাপুজোয় শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে কোনওভাবেই ছটপুজোতেও অনুমতি দেওয়া যাবে না। কারণ পুজো উপলক্ষ্যে কতজন কোন পরিবার থেকে রাস্তায় বেরোবেন, সেটা আগাম সমীক্ষা করে বলা অসম্ভব।"