সিনেমায় অভিনয়ের টোপ দিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ এবার কলকাতার বুকে। সোদপুরের এক উঠতি মডেলকে নামী প্রোডাকশন হাউসের সিনেমায় সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রথমে লক্ষ-লক্ষ টাকা হাতিয়েছিল অভিযুক্তরা। এরপর সেই টাকা ফেরত চাইতেই আলোচনার নাম করে ডেকে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল ছয় যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বেনিয়াপুকুর থানার পুলিশ। ফেরার রয়েছে আরও ৪জন।
পুলিশ সূত্রের খবর গত ৯ অগস্ট গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে, তরুণী সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি ২ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা মূল অভিযুক্ত প্রশান্ত সিংহ কলকাতার বেনিয়াপুকুরে কয়েকজনের সঙ্গে মিলে বড়সড় অফিস সাজিয়ে জাল ব্যবসা ফেঁদেছিলেন।টালিগঞ্জে নামী প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে নিত্য ওঠাবসার মিথ্যা গল্পও ফেঁদেছিলেন। সেই জালে জড়িয়ে পড়েন সোদপুরের তরুণী।সিনেমায় নায়িকা হওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার নামে ৬৪ লক্ষ টাকা হাতায় প্রশান্ত। এর মধ্যে ৩৪ লক্ষ টাকার লেনদেন ব্য়াঙ্কের নথি ইতিমধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি ৩০ লক্ষ টাকা নগদে লেনদেন হয়েছে বলেই খবর। টাকা দেওয়ার পর অনেকটা সময় কেটে গেলেও সিনেমায় ডাক পাননি নির্যাতিতা। তখনই টাকা ফেরত চান তিনি। বেশ কয়েকবার টাকা চাওয়ার পর তাঁকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত যুবক। সেই টোপে পা দিয়ে গত ৯ আগস্ট অভিযুক্তর সঙ্গে দেখা করেন তরুণী। তার পর তাঁকে গাড়িতে করে গোবরায় নিয়ে যায় প্রশান্ত। সঙ্গে গাড়ির চালক-সহ আরও ৪ জন ছিল। গোবরায় যুবকের মামার বাড়ি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিযোগ, সেই ফাঁকা বাড়িতেই তরুণীকে ধর্ষণ করে ওই ছজন। এই ঘটনায় গাড়ির চালক দীপেন নস্কর ও মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিদের হদিশ এখনও মেলেনি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।