অর্জুন সিং(File pic)

বারাকপুর, ২ সেপ্টেম্বর: বারাকপুরে রবিবার অর্জুনের নেতৃত্বে হিংসার ঘটনা ঘটেছে। সাংসদের ছেলে পবন সিং ফিডার রোডের গন্ডগোলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। গতকাল সংঘর্ষে মাথা ফাটার পর হাসপাতালের বেডে শুয়ে পুলিশের দিকে তাঁকে খুনের অভিযোগ এনেছিলেন অর্জুন সিং (MP Arjun Singh)। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গোটা ঘটনার দায়ভার বারাকপুরের বিজেপি সাংসদের কাঁধে চাপিয়ে দিলেন এডিজি আইন শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং(Ganwant Singh)। এ দিন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসা করে জ্ঞানবন্ত বলেন, “পুলিশ যে ভাবে কাজ করেছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। কোথাও দেখা যায়নি পুলিশ লাঠি চালাচ্ছে। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে দেখা গিয়েছে, কারা পুলিশের উপর পাথর ছুড়ছে।”

দীর্ঘ সাংবাদিক সম্মেলনে এডিজি এলও আরও বলেন, “বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার ভেবেছিলেন তিনি নিজে গিয়ে বললে অবরোধকারীরা উঠে যাবেন। কিন্তু তা তো হয়ইনি। সঙ্গে সঙ্গে ওরা বোমা ছুড়তে শুরু করে।” তাঁর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী রবিবার তিনশোর মতো বোমা পড়েছে জগদ্দল এবং শ্যামনগরে। সোমবার বিজেপি-র ডাকে বনধ চলছে বারাকপুরে। এ দিনও বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন বিজেপি কর্মী। যাঁদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তবে জ্ঞানবন্ত বলেন, “এ দিন ছোটখাটো কিছু ঘটনা ঘটেছে। এমনিতে পরিস্থিতি পুলিশের আয়ত্তের মধ্যেই আছে। তবে গতকালের ভিডিও ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গ্রেপ্তার করা হবে।”  আরও পড়ুন-বারাকপুর বনধ: বিজেপি-র 'দাদাগিরি'-তে আক্রান্ত পুলিশ- বন্দুকের বাঁটে মাথ ফাটল বিজেপি কর্মীদের, RAF নামিয়ে শান্তি ফেরানোর চেষ্টা

এদিকে এডিজির বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরই কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্য বিজেপির নেতা সায়ন্তন বসু। তিনি বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে পুলিশের বেআব্রু দশা। সে টলিগঞ্জে মার খাচ্ছে। আবার বারাকপুরে সাংসদকে মেরে মাথা ফাটাচ্ছে। এদিকে ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের মাথা ফাটানোর ঘটনাকে কেন্দ্রীয় রাজনীতির মধ্যে নিয়ে গিয়ে ফেলেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এবিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেন তিনি। সকালেই তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধানকড় (Jagadeep Dhankar)।