কলকাতা, ২৭ নভেম্বর: টানা দু বার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই পুরপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে কলকাতার মেয়র হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় (Sovan Chatterjee)। বেহালা পর্ণশ্রী এলাকার এই ওয়ার্ডে একটা সময় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন শোভন। পরে ২০১৮ সালে তিনি পদত্যাগ করেন। দলের সঙ্গে শোভনের দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর থেকে ওয়ার্ডের সব কাজকর্মের তদারকি করতেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। রত্না চট্টোপাধ্যায়ের (Ratna Chatterjee) সামনে এবার প্রকৃত পক্ষে ভোটে জিতে কাউন্সিলর হওয়ার হাতছানি। রত্না চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'ওয়ার্ডের সঙ্গে এতটাই আত্মিকভাবে জড়িয়ে গিয়েছি যে আমার কখনও মনে হয়নি আমি কাউন্সিলর নই।'
তবে তৃণমূলের তরফে টিকিট পাওয়ার বিষয়টি অবশ্য প্রত্যাশিত ছিল রত্নার কাছে। তাঁর কথায়, 'বিধায়ক হব কোনও দিন ভাবিনি, তবে আমার আশা ছিল ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হব।' আর এই টিকিট পাওয়ার জন্য রত্না চট্টোপাধ্যায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। রত্না ছাড়া আরও ছয় বিধায়ককে টিকিট দেওয়া হয়েছে পুর নির্বাচনের জন্য। ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবব্রত মজুমদার ও দেবাশিস কুমার, পরেশ পাল টিকিট পেয়েছেন। টিকিট পেয়েছেন সাংসদ মালা রায়। আরও পড়ুন: কলকাতা পুরভোটে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, লড়ছেন ফিরহাদ হাকিম
তবে মেয়র পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি তৃণমূলের তরফে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা পুরভোটের সময়সূচি ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূল তাদের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করে। শুক্রবার বিকেলে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে) বৈঠক করেন কালীঘাটে, মমতার বাড়িতে।