Representational Image (Photo Credits: Pixabay)

ঋণের টাকা না মেটানোয় এক যুবককে কিডনি বিক্রির জন্য চাপ দিল পাওনাদার। চাপে পড়ে সে তাঁর স্ত্রীয়ের কিডনি বিক্রি করে সেই টাকা মিটিয়ে দিলেও অতিরিক্ত টাকার দাবি করে অভিযুক্ত। তখনই পুলিশের দারস্থ হয় ওই যুবক। অভিযোগের ভিত্তিতে পাওনাদার সহ এক কিডনি পাচারকারী মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে (Ashoknagar)। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত থাকতে পারে। সেই কারণে এই ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।

কিডনি বিক্রির জন্য চাপ দেওয়া হয় দম্পতিকে

জানা যাচ্ছে, হরিপুরের বাসিন্দা অভিযুক্ত বিকাশ ঘোষ ওরফে শীতলের থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছিল অশোকনগরেরই এক গরীব দম্পতি। তবে নিয়মিত তাঁরা সুদের টাকা মিটিয়েছিল। যা সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হয়। নিয়মিত সুদের টাকা দেওয়ার পরেও আসল ৬০ হাজার টাকার জন্য ক্রমাগত অসহায় যুবককে চাপ দিতে থাকে বিকাশ। সেই টাকা মেটাতে অপারগ হওয়ায় তাঁকে কিডনি বিক্রি করার জন্য চাপ দিতে থাকে। এদিকে দম্পতি পরিবারের বাকি সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে নিশ্চিত করেন যে সে তাঁর স্ত্রীয়ের কিডনি বিক্রি করবেন।

অতিরিক্ত টাকার দাবি করে বসে বিকাশ

অন্যদিকে, বিকাশ একটি মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করায় ওই দম্পতিকে। সেই মহিলা কলকাতার একটি নামী বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে যুবকের স্ত্রীয়ের কিডনি বের করে। এবং তার বিনিময়ে টাকাও পায়। এদিকে টাকা পাওয়ার পর যখন যুবক বিকাশকে ৬০ হাজার টাকা দিতে চায়। তখন সে আরও ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। এই নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। তারপরেই অশোকনগর থানায় গিয়ে যুবক বিকাশের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এই ঘটনার তদন্তে নেমে অবশেষে গ্রেফতার হলেন সুদখোর বিকাশ ও কিডনি পাচারকারী ওই মহিলা।