মুর্শিদাবাদ, ৩১ অক্টোবর: আজ ভোরবেলা (Morning) কাশ্মীরে (Kashmir) নিহত ৫ বাঙালি শ্রমিকের (Five Bengali Labours) মৃতদেহ (Dead Body) এসে পৌঁছল (Reached)। শেষবারের মত প্রিয়জনকে দেখার অপেক্ষায় বসেছিলেন পরিবারের লোকজন। শুধু পরিবারই নয়, সারা গ্রামই রাত জেগে বসেছিল এইদিন। শোকস্তব্ধ পরিবার। এলাকা জুড়ে থমথমে ভাব। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ শ্রীনগর থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে আনা হয় তিনজনের মৃতদেহ। রাত ১২টায় পৌঁছায় অন্য দু'জনের দেহ।
রাজ্যের মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) তত্ত্বাবধানে রাতেই বিমানবন্দর থেকে সাগরদিঘি (Sagardighi) রওনা হয় মৃতদেহ। বিমানবন্দরের বাইরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল পাঁচটি শববাহী গাড়ি। এদিন পাঁচটি মৃতদেহের পাশাপাশি আহত শ্রমিক জহিরুদ্দিনকেও কলকাতায় আনা হয়। সন্ত্রস্ত জহিরুদ্দিনের কথা বলার ক্ষমতা নেই। বিমানবন্দরে পৌঁছতেই বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে তড়িঘড়ি এসএসকেম হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই ট্রমাকেয়ার ইউনিটে তাঁকে রাখা হয়েছে। আরও পড়ুন, কাশ্মীরে নিহত ৫ বাঙালি শ্রমিকের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার
West Bengal: Bodies of 5 labours (who were killed by terrorists in Kulgam, J&K on 29 Oct) handed over to their families in Murshidabad today. State government has announced an ex-gratia grant of Rs. 5 lakhs for the kin of the deceased. pic.twitter.com/GI9dJFojPz
— ANI (@ANI) October 31, 2019
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী নিহত সদস্যদের পরিবার পিছু ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম পরিবারের হাতে সেই টাকা দেবেন। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার কুলগামের (Kulgam) কাটারসুতে একটি বাড়িতে কর্মরত শ্রমিকদের ওপর গুলি চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এলাকাটি হিজবুলের ঘাঁটি বলে ধরা হয়। জঙ্গিদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘির বোখারা গ্রামের ৫ শ্রমিক। রফিক, কামরুদ্দিন, মুরসালিম, নইমুদ্দিন, রফিকুলরা।