আরজি করের ঘটনার পরেও উন্নত হল না রাজ্যের পরিস্থিতি। বরং প্রতিনিয়ত বাংলায় নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। জয়নগরের ঘটনায় দোষী ফাঁসির সাজা শোনানোর পরেও কমেনি ধর্ষকদের দৌরাত্ম্য। দিনদুয়েক আগেই সন্দেহখালিতে (Sandeshkhali) এক তরুণীর মৃতদেহ স্থানীয় একটি জলাশয় থেকে উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করেছে বেশ কয়েকজন যুবক। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই সন্দেশখালিতে পৌঁছে যায় জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women) বাংলা শাখার সদস্যরা। ঘটনা নিয়ে পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার।

তাঁর মতে, "একটি মেয়ে বিগত চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিল। পুলিশের কাছে মিসিং ডায়েরি করার পরেও তৎপরতার সঙ্গে তরুণীর খোঁজ করেনি পুলিশ। যার ফলে স্থানীয় পুকুরেই হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার হল তাঁর মৃতদেহ। এদিকে ওই এলাকায় নাকি বেশ কয়েকবার ধরে খুঁজেছিল পুলিশ। তাহলে হঠাৎ করে কীভাবে দেহ ভেসে উঠল? রাজ্যের পুলিশ ব্যর্থ নারীদের সুরক্ষা দিতে। রাজ্যে আইন ব্যবস্থা ধসে পড়ছে। এই ঘটনায় পুলিশ কী অভিযুক্তদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে? যদি এভাবেই রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে অভিযুক্তদের রক্ষা করা হয়, তাহলে বিচার কীভাবে পাবেন সাধারণ মানুষ? এখন একটা মহিলা বাইরে বেরোতে ভয় পাচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ"।