![](https://bnst1.latestly.com/uploads/images/2024/10/crime-news.jpg?width=380&height=214)
লুকিয়ে আইনি বিয়ে করলেও সামাজিক বিয়েতে অমত ছিল পরিবারের। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীয়ের মধ্যে হামেশাই বচসা চলছিল। মঙ্গলবার রাতে ঘুরতে যাওয়ার নাম করে মহিলাকে ডেকে এনে খুন করল স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বাগনানের (Bagnan) রামচন্দ্রপুর এলাকায়। স্ত্রীকে খুনের পর দেহ লোপাট করার চেষ্টা করে অভিযুক্ত। তখনই স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পায়। তাঁরাই পুলিশে অভিযোগ জানালে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। অন্যদিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রতিবেশী যুবককে বিয়ে
জানা যাচ্ছে, বাগনানের খাজুরনান এলাকার বাসিন্দা বছর ২৩-এর নার্গিস খাতুন ও আজাদ খানের। নার্গিসের ৯ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল অপর এক যুবকের সঙ্গে। তাঁদের আবার একটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু কয়েকবছর আগেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বিচ্ছেদের পরেই নার্গিস বাপের বাড়ি চলে আসেন। আর তারপরই প্রতিবেশী যুবক আজাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি।
বিয়ে নিয়ে বিবাদ
দুজনের সম্পর্ক ভালোই চলছিল, এমনকী মাস চারেক আগে তাঁদের আইনি বিয়েও হয়। আর সেই বিয়ের কথা যখন আজাদের বাড়িতে জানাজানি হয়, তখন তাঁরা আপত্তি করেন। অন্যদিকে নার্গিস সামাজিক বিয়ের চাপ দিতে থাকে। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত। জানা যাচ্ছে, গতকাল রাতে আরামবাগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন নার্গিস। সেই সময় আজাদ ঘুরতে যাওয়ার জন্য ফোন করেন। স্বামীর ফোন পেয়ে বাগনানে ফেরে সে। এরপর দামোদর পাড়ে মিত্তির পুকুরধার দিয়ে যাওয়ার সময় দুজনের মধ্যে ফের বিয়ে নিয়ে ঝামেলা শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীকে খুনের চেষ্টা
তখনই রাগের মাথায় নার্গিসকে পুকুরধারে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় আজাদ। তারপরে কাদামাটিতে স্ত্রীয়ের মুখ চেপে রেখে খুন করে অভিযুক্ত। এরপর দেহ লোপাটের জন্য পুঁতে দেওয়ার চেষ্টা করে সে। তখনই স্থানীয় এক বাসিন্দা দেখতে পায়। প্রথমে তাঁকে আটকানোর জন্য আজাদ মারধর করে। তারপর কোনওমতে সেই ব্যক্তি পালিয়ে গিয়ে স্থানীয় ক্লাবে খবর দিলে তাঁরাই আজাদকে আটক করেন। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে