কলকাতা, ১৫ জানুয়ারি: গত সোমবার রানাঘাট থেকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের নার্সিংহোম গুলিকে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ারি বাস্তবে কোনও কাজে এল না। কলকাতার উপকণ্ঠে বাঘাযতীনের এক নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে (Swasthya Sathi Card) পরিষেবা দিতে অস্বীকার করল। ওই বেসরকারি হাসপাতালের নাম রেডপ্লাস সোসাইটি। গত ১২ তারিখে পেটের সমস্যা নিয়ে সেখানে রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল। হাসপাতালের তরফে তখনই জানানো হয় যে রোগীর অস্ত্রোপচরা হলে তবেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ব্যবহার করা যাবে, নচেৎ নয়। যেহেতু অপারেশন হয়নি তাই এক্ষেত্রে রোগীকে ভর্তি করা ভুল হয়েছে। এমনকী চিকিৎসার টাকাও ফের চেয়েছে ওই বেসরকারি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে।
আর কয়েক মাসের ব্যবধানে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। কেন্দ্রকে টেক্কা মারতে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের অধীনে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড রাজ্যবাসীর হাতে পৌঁছে দিতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল সরকার। এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসায় রোগীর পরিবারকে কোনও টাকা দিতে হবে না। যদিও কেন্দ্রের আয়ুষ্মানু ভারতকে বিরোধীরা ভাল বলে দাবি করেছেন। এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শেষকথা, রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগীর পরীবারকে একটা টাকাও দিতে হচ্ছে না। অথচ কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত কার্ডে রোগীর পরিবারকে ৪০ শতাংশ চিকিৎসার খরচ বহন করতে হচ্ছে। তাহলে কোনটা ভাল? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আরও পড়ুন-India Protests to WHO: WHO-র ওয়েবসাইটে ভারত থেকে আলাদা জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ! প্রতিবাদে সরব নয়াদিল্লি
তবে শুধু শহর কলকাতা নয় ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলার বাসিন্দারাও। শিলিগুড়িতে ৭০-এরও বেশি বয়সের নাগরিককে বিনা চিকিৎসায় প্রাণ দিতে হয়েছে। মৃতের নাম মহম্মদ গফ্ফর। তিনি শিলিগুড়ির প্রমোদনগরের মাটিগাড়া এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাঁকে ভর্তি নেয়নি কোনও বেসরকারি হাসপাতাল। শেষপর্যন্ত মঙ্গলবার বাড়িতেই বিনা চিকিৎসায় তাঁর মৃত্যু হয়। ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের অধীনে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির কাজ এখনও চলছে। আর এরমধ্যেই হাতেগরম ঘটনা ঘটছে পরপর। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও পরিষেবা পাচ্ছেন না রোগী।